#ইরান: ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হবে। একে করোনায় গোটা বিশ্ব আতঙ্কে ভুগছে। তার মধ্যে রোজ কিছু না কিছু মৃত্যু খবর আসছে। তবে পরিচালক বাবাক খোররামদিনের (Babak Khorramdin) খুনের খবর যেন ভয় ধরিয়ে দেয়। পরিচালককে খুন করেছেন তাঁর নিজের বাবা মা। হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন। কারণ জানলে আরও অবাক হবেন।
বাবাকের বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। কিন্তু তিনি বিয়ে করেননি। ছবি পরিচালনাতেই ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে তাঁর বাবা মা প্রতিদিন তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু বাবাক স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না। ছেলে বিয়ে না করায় সমাজে কটুক্তি শুনতে হচ্ছিল তাঁর বাবা মাকে। এ ঘটনা মেয়েদের সঙ্গে হয়। কিন্তু ইরানে ছেলেরাও এই সমাজের যন্ত্রণার শিকার। সহ্য করতে না পেরে বাবাকের বাবা ও মা ঠিক করেন ছেলেকে মেরে ফেলবেন।
এর পর তাঁরা খুব ঠাণ্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করেন। কাজ থেকে ছেলে বাড়ি ফিরলে তাঁকে খাবারে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। এবং এরপর শ্বাস আটকে বাবাককে খুন করেন। তাতেও থামেননি তাঁর বাবা মা। এর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলেকে কুচি কুচি করে কাটেন। প্ল্যাস্টিকে ভরে ফেলে দেন আর্বজনায়। এর পর সব প্রমাণ লোপাট করে দেন। এলাকায় রটিয়ে দেন ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
پدر #بابک_خرمدین: از هیچ کدام از قتلهایی که کردم عذاب وجدان ندارم!
کابوسی به سراغم نمیآمد چون احساس گناهی نمیکردم
کسانی که کُشتم فساد اخلاقی بالایی داشتند pic.twitter.com/bV0wMLgVYI
— خبرگزاری تسنیم ?? (@Tasnimnews_Fa) May 19, 2021
কিন্তু ঘটনা চাপা থাকে না। বাবাকের কুচি কুচি দেহ উদ্ধার হয় আর্বজনা থেকে। এর পর বাবাকের বাবাকে প্রশ্ন করা হলে, দোষ স্বীকার করে নেয় বাবা। নিজের ছেলের খুনের ঘটনা খুলে বলেন। দোষ স্বীকার করে নেন। আপাতত তাঁর বাবা ও মা দু’জনকেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাবাক ২০০৯ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিনেমায় মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ‘ক্রেভাইস’ ‘ওথ টু ইশার’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। কিন্তু নিজের পরিবারই মেনে নিল না তাঁর ইচ্ছেকে। এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানতে পেরে গোটা বিশ্ব ভয়ে কাঁপছে। সামনে এল বাবাকের বাবার একটি ইনস্টারভিউ , যেখানে অবলীলায় ছেলেকে খুন করার কথা মেনে নিচ্ছেন তিনি।