কলকাতাঃ আগামী, শনিবার ১৯ অক্টোবর, অনশনকারীদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হবে ন্যায় বিচার যাত্রা। সোদপুর থেকে ধর্মতলা নির্যাতিতা মৃতা চিকিৎসকের বাড়ি থেকে ধর্মতলা অনশন মঞ্চ পর্যন্ত হবে এই যাত্রা। রাজ্যের সমস্তস্তরের মানুষকে ন্যায় বিচার যাত্রায় আহ্বান ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের।
আরও পড়ুনঃ ‘দুই-তিন অভয়া যেন না হয়’…ভর্তি ছিলেন CCU-তে! সুস্থ হয়েই বিস্ফোরক ‘আমরণ অনশনকারী’ চিকিত্সক অনিকেত
১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে এবং সুবিচারের আশায় বিগত ১৩ দিন ধরে ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ, বৃহস্পতিবার, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে প্রেস কনফারেন্স জানানো হয়, ২৮৬ ঘণ্টা আমরণ অনশন চলছে।এখন পর্যন্ত কলকাতার ৪ জন ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ২ জন হাসপাতালে ভর্তি।তাঁদের মধ্যে অনিকেত মাহাতো আজ ছাড়া পেয়েছেন। আমাদের যে ১০ দফা দাবি ছিল তা নিয়ে রাজ্য সরকার যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে যেমন ১০০ শতাংশ সিসিটিভি বসানোর কাজ হয়ে গেছে ওরা বলেছেন,সেটা আদৌ হয়নি। ( ছবি দেখিয়েছেন তাঁরা)।
তাঁরা প্রেস কনফারেন্সে আরও জানান, ‘ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স যেখানে যেখানে সিসিটিভি বসানোর কথা বলেছেন, আদৌ তা হয়নি। আমরা আজকে সর্বত্র ঘুড়েছিলাম আমরা যা ছবি দেখেছি তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আদৌ ওয়াশ রুমের কাজ হয়নি। কলেজ লেভেল টাস্ক ফোর্সে ছাত্র, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি না থাকলে কোনও কিছু বাস্তবায়িত হবে না।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৮৬৯টি সিসিটিভি বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ভবন ৩৬০টি বসানোর কথা বলে। দেখা যাচ্ছে, ৩১৯টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে।এটা চরম মিথ্যাচারিতা। এগুলো ৪৫ দিনের জন্য সাময়িক বসানো হয়েছে এটা কেন জানানো হয়নি।’ তবে, তাঁদের দাবি যতদিন না সম্পূর্ণরূপে মানা হচ্ছে তাঁদের অনশন চলবে।