করণ ও যশ জোহর

Karan Johar: সুপারহিট ছবিতে বলিউড তোলপাড়, তবে জানেন এই ছবি ধার করে বানিয়েছিলেন করণ-যশ জোহর!

মুম্বই: জাকির খানের নতুন শো ‘আপকা আপনা জাকির’-এর প্রথম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউডের স্বনামধন্য চিত্র পরিচালক করণ জোহর। নিজের জীবনের মজাদার এবং আবেগঘন মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানালেন যে, প্রয়াত বাবা যশ জোহরের কিছু ছবি ফ্লপ করায় কীভাবে তাঁকে লড়াই করতে হয়েছিল!

এমনকী গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির থেকেও তিনি উদাসিনতা পেয়েছিলেন। করণ আরও বলেন যে, ধর্মা প্রোডাকশনস যে সাফল্যের শিখরে পৌঁছচ্ছে, সেটা দেখা যেতে পারেননি তাঁর বাবা। আর এর জন্য তাঁর আক্ষেপ থেকেই যাবে।

করণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি কি কখনও ভেবেছিলেন যে, তাঁর ছবি সফল হবে কি না? সেই প্রসঙ্গে করণ জানান যে, তিনি কখনওই তেমন আত্মবিশ্বাসী বোধ করেননি। কারণ সেই সময় ঋণ এবং আর্থিক কষ্ট নিয়ে বেশ উদ্বিগ্নই ছিলেন তিনি। কারণ স্মৃতিচারণ করে করণ জানান, সেই সময় তাঁর বাবাকে ‘দোস্তানা’ ছবির জন্য রীতিমতো ঋণ নিতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘ভিতরের কেউ আছে’, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দেহ মমতার

পরিচালকের কথায়, “আমি কখনওই ভাবিনি যে, আমার ছবি বাজি মেরে দেবে কিংবা তা বক্স অফিসে বড় কামাল দেখাবে। আমার মনে হয়েছিল, আমি ক্ষতির মুখে পড়ে যাব। ফলে পথে এসে দাঁড়াতে হবে। কারণ আমি প্রযোজকের পুত্র। তিরিশ বছর ধরে আমার বাবা প্রোডাকশন কন্ট্রোলারের কাজ করেছেন। আর তিনি যখন প্রথম ছবির প্রযোজনা করেন, তখন দোস্তানা-র জন্য প্রচুর টাকা লোন নিতে হয়েছিল তাঁকে। ছবিটি চলেছিল। কিন্তু এরপরেও তিনি এমন অনেক ছবি করেছিলেন, যেগুলি ফ্লপ হয়েছিল।”

আরও পড়ুন: বুড়িয়ে যাচ্ছে চামড়া? রাতে শোওয়ার আগে ‘এই’ এক কাজে চকচক করবে মুখ! রইল গোপন টিপস

করণের বক্তব্য, ছবি যখন চলে না, তখন ইন্ডাস্ট্রির প্রতিক্রিয়াও হয় অন্যরকম। তাঁর কথায়, “প্রিমিয়ারে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেতাম আমরা। কিন্তু আমাদের অত্যন্ত জঘন্য সিট দেওয়া হত। বাবা তো যেতই না। কিন্তু আমাকে যেতে বলত। আর আমি বাবার চোখে চাপা থাকা কষ্টটা স্পষ্ট দেখতাম। মনে হত উনি বলতে চাইছেন যে, যখন সম্মান দেওয়াই যাবে না, তখন আমাদের ডাকা হচ্ছে কেন? ব্যর্থতা আসলে তেতো একটা ওষুধ, যেটা খেতেই হবে।”

স্মৃতিচারণ করে করণ বলে চলেন, “যখন ছবি ফ্লপ হয়, তখন আপনার নাম এবং ব্যর্থতার বিষয়ে চিৎকার করে গোটা বিশ্বকে জানানো হয়। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বাবাকে যেতে দেখা খুবই কষ্টের। আজ হয়তো ধর্মার অবস্থা দেখলে তিনি খুশি হতেন। এতটা তাড়াতাড়ি তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, সেটা ভাবতে পারিনি। বাবা শুধু আমার ৫-৬ বছরের সফরটাই দেখার সুযোগ পেয়েছিল। এটাই আমার সবথেকে বড় আক্ষেপ যে, উনি ধর্মার সেরা সময়টা দেখতে পেলেন না।”