পাঁচমিশালি General Knowledge Story: বলুন তো কোন দেশে একটিও মশা নেই? দেখা যায় না সাপও! নাম শুনলে অবাক হবেন, আমেরিকা নয় কিন্তু Gallery May 30, 2024 Bangla Digital Desk বিশ্বজুড়ে মশার দাপটে অস্থির মানুষ। গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ভারত তো বটেই, মশা থেকে বাঁচতে পারেনি আমেরিকার মতো দেশও। গরম পড়তেই শুরু হয় মশার দাপট। বর্ষা এলেই শুরু হয় ডেঙ্গি, ম্যালারিয়া, চিকুনগুনিয়ার আতঙ্ক। মশারি টাঙাতে সব সময় ইচ্ছে করে না। তাই বাজারে পাওয়া যায় মশা মারার র্যাকেট বা ব্যাট। এগুলি ব্যাটারি চালিত। একবার চার্জ দিলে বেশ কিছু সময় এটি মশা মারতে পারে। এটি মশার সংস্পর্শে এলেই মশা মরে যায়। গ্রীষ্মের মরশুমে নোংরা জায়গায় মশারা বেশি বংশবৃদ্ধি করে। এই কারণে প্রতিদিন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত অসংখ্য রোগী চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে সব বয়সের মানুষ রয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছে ৫ বছর পর্যন্ত বয়সের শিশুরা। আর সবথেকে বড় কথা হল, এরাই বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সময়মতো ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শহর কলকাতা হোক বা গ্রাম-গঞ্জ, সন্ধে হলেই ছেঁকে ধরছে মশা। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে কোনও মশা নেই। দেশটির নাম হল আইসল্যান্ড। এখানে মশা, পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেই। প্রতিবেশী নরওয়ে, ডেনমার্ক, স্কটল্যান্ড, গ্রীনল্যান্ডেও যথেষ্ট মশার উৎপাত আছে। নেই শুধু আইসল্যান্ডে। আরও মজার বিষয় হল আইসল্যান্ডিক ইনস্টিটিউট অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে মশার দেহাবশেষ সংরক্ষিত আছে। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বেশিরভাগ বাড়িতেই ইলেকট্রিক লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন ব্যবহার করা হয়। অনেকেই অল আউট বা গুড নাইটের মতো মশা তাড়ানোর মেশিন ব্যবহার করেন। তবে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতে মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে প্রতি নিয়ত মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।