আবীর ঘোষাল, কলকাতা: বেসরকারি হাতে কলকাতা মেট্রো? একাধিক চালু হওয়া বা হতে চলা রুটে এবার বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা কাজ করবেন? যার জেরে বেসরকারিকরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামছে মেট্রো ইউনিয়নগুলি। আজ, বুধবার মদন মিত্রের নেতৃত্বে মেট্রো ভবনে হবে বিক্ষোভ সমাবেশ।
কলকাতা মেট্রোর ‘মেন্স ইউনিয়ন’ দমদম স্টেশনের বাইরে কলকাতা মেট্রোর বেসরকারিকরণের ভাবনার বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিগত দিনে স্মার্ট কার্ড চালু হওয়ার পর থেকে একাধিক মেট্রো স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা কমে গিয়েছে। স্থায়ী কর্মী নিয়োগ কমেছে। এরই মাঝে নিরাপত্তার জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ‘টিকেটিং জোন’-এ বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। যার জেরে কলকাতা মেট্রোর বেসরকারিকরণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোর হাতে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে মোটরম্যান নিয়োগের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন বিক্ষোভকারী মেট্রো কর্মীরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে মেট্রো স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালাতে শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা যাতে শঙ্কিত না হয়, তার জন্য অবশ্য মেট্রোর কেবিনে একজন চালক থাকছেন আপাতত। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে মেট্রোতে একাধিক নতুন রুট চালু হলেও একটিও নতুন পদের অনুমোদন মেলেনি। এই আবহে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া-এসপ্ল্যানেড পথে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ জন বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিউ গড়িয়া-রুবি এবং জোকা-মাঝেরহাট মেট্রোপথেও একাধিক কাজে বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এই আবহে ভোটের পরে টিকিট বিক্রি-সহ অন্যান্য ব্যবস্থাও বেসরকারি হাতে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।