আগামী ২৫ বছরে শহরে পানীয় জলের কোন সমস্যাই থাকবে না বললেন ফিরহাদ

Kolkata Municipality: আগামী ২৫ বছরে শহরে পানীয় জলের কোনও সমস্যাই থাকবে না, অভিযোগের মাঝেই বললেন ফিরহাদ

কলকাতা: কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের পর নাগরিকের প্রশ্ন ‘টক টু মেয়র’-এ। সমস্যা সেই পরিশ্রুত পানীয় জলের। কোথাও জল কষ্ট; আবার কোথাও জল আছে কিন্তু পানের যোগ্য নয়। কারণ বেশিরভাগটাই ডিপ টিউবওয়েলের তোলা জল আসছে পুরসভার নলের মাধ্যমে। গঙ্গার জল পরিশ্রুত হয়ে গার্ডেনরিচ বা টালার মাধ্যমে কিংবা জয়হিন্দ জল প্রকল্পের মাধ্যমেও শহরের সর্বত্র পৌঁছচ্ছে না, আর তাই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরিজিৎ দাস ঠাকুর গড়ফা কালিকাপুরের একাংশের জলের সমস্যার কথা জানান পরিচিত পানীয় জলের অভাব। সেখানে প্রস্তাবিত বুস্টার পাম্পিং স্টেশন দ্রুত করা এবং গঙ্গার পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার দাবি জানান।

আরও পড়ুন: আজ ১৫০ কোটি, কিন্তু ১৯৯৮ সালে কুছ কুছ হোতা হ্যায়-তে অভিনয়ের জন্য শাহরুখ খান কত টাকা পেয়েছিলেন জানেন?

সেই প্রসঙ্গে এই প্রশ্ন উঠতে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বর্তমানের সমস্যা তো মিটবেই। পাশাপাশি, ২৫ বছর পর শহরের বাসিন্দাদের জন্য কতটা পানীয় জলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সেকথা ভেবেই নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কথা জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ”আগে বাম আমলে কোনও পরিকল্পনাই নেওয়া হয়নি। যেখানে পানীয় জলের অভাব ছিল, সেখানে একের পর এক গভীর নলকূপ তৈরি করা হয়েছে। কোনও সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু আগামী দিনে জনসংখ্যা বাড়বে। তাই আমরা ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিকল্পনা নিয়েছি। সবটা করতে সময় লাগবে। আমার হাতে কোনও যাদুকাঠি নেই।” কিন্তু এই বক্তব্যের সঙ্গে মেয়র জল সরবরাহ বিভাগের কর্তাদেরও উপরেও নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন।

এদিন কসবার কুমোরপাড়া এলাকা থেকে পানীয় জলের সমস্যার অভিযোগ আসে। এক বাসিন্দা বলেন, ”গত ২০১৯ সাল থেকে তিনি সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। এখনও গভীর নলকূপের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। প্রচুর আয়রন সেই জলে। সেজন্য ফেরুলও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বারবার ফেরুল পরিষ্কার করাতে হচ্ছে। মেয়রের প্রতি তাঁর বক্তব্য, ”আপনি বলেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে পরিশ্রুত পানীয় জল মিলবে। প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু তারপর ২০২৪ হয়ে গিয়েছে। এখনও জল পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগ শুনে মেয়র জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিককে তোপ দাগেন।

পরে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ”আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি। একাধিক জায়গায় নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বানানো হচ্ছে। শহরে সেই অর্থে জলকষ্ট কোথাও নেই। তীব্র গরমের সময় জলস্তর নেমে যাওয়ার কারণে কিছু কিছু এলাকায় সমস্যা হয়েছিল।” তাঁর সংযোজন, শহরের সংযুক্ত এলাকা (টালিগঞ্জ, বেহালা, যাদবপুর, কসবা)-সহ বিভিন্ন জায়গায় এখনও গভীর নলকূপের জল পানে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। সেই সমস্যা মেটাতেই ৭০০ কোটি টাকা খরচে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একাধিক জলপ্রকল্প, পাম্পিং স্টেশন বানানো হচ্ছে। আগামী ২০২৬ সালের আগেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী মেয়র।