বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে অঞ্জন চৌধুরীর বাংলা সিনেমা দেখার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।

Kunal Ghosh: ‘বাম আমলে কী হত?’ বিরোধীদের আক্রমণ করে অঞ্জন চৌধুরীর সিনেমা দেখার পরামর্শ কুণালের

কলকাতা: বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে অঞ্জন চৌধুরীর বাংলা সিনেমা দেখার পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। হাসপাতাল নিয়ে বাম আমলে কি হত? প্রশ্ন তুলে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তুলনা টানেন তিনি। তিনি বলেন, “অঞ্জন চৌধুরীর ছবি দেখুন। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিয়ে। ঘোর বাম জমানায় তৈরি ছবি। পারলে দেখবেন। হাসপাতালে সে সময় কী চলত; চক্র কী করত, সেসবের প্রেক্ষিতেই সিনেমা। একবার দেখে নেবেন।”

প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরেই বামেদের ভূমিকার সমালোচনা করছিলেন কুণাল। সোমবার সকালে আচমকা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। তিনি জানিয়েছেন, আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের কাছ থেকে পাওয়া বেশ কিছু নথি তাঁর কাছে ছিল। সে সব সিবিআইকে দিতে চান তিনি। সেই কারণেই সিবিআই দফতরে পৌঁছেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু খোলসা করেননি কুণাল।

আরও পড়ুন- ‘সিবিআই আমাদের আশ্বস্ত করেছে…বিচার দেবে’ আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের

কুণাল আরও জানান, আরজি কর হাসপাতালের উপর তাঁর বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। তাঁর বাবা এবং মা, উভয়ের সেখানকার পড়ুয়া ছিলেন বলে জানান। শুধু তা-ই নয়, কুনালের জন্মও আরজি করে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকেরা জরুরি কিছু বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মেডিক্যাল ভাষা সবটা আমি বুঝিনি। আমি বলেছিলাম, আর একটু পরিষ্কার করতে। তার মাঝেই এই দুর্ভাগ্যজনক হত্যাকাণ্ড আরজি করে ঘটে যায়। দোষীদের বা দোষীর ফাঁসি চাই আমি। আমার কাছে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা জানান, এই নথির কিছু প্রেক্ষিত থাকলেও থাকতে পারে। কী বিষয়ে এই নথি, তা বলতে চাই না। আমি কারও নাম করতে চাই না। এই নথি আমি সিবিআইকে নিতে অনুরোধ করব। নিলে নেবে। না নিলে না নেবে। সিবিআই যদি মনে করে, এই তথ্য তাদের কাজে লাগবে, তবে তারা সেই জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’’

কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নথি নিয়ে কেন যোগাযোগ করেননি? উত্তরে কুণাল বলেন, ‘‘আমার মনে হয়েছে, এতে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। তা সত্য না মিথ্যা, আমি যাচাই করিনি। বিষয়টি যে হেতু এখন কলকাতা পুলিশের হাতে নেই, তাই আমি তাদের হাতে এই তথ্য তুলে দিইনি। সিবিআই তদন্ত করছে। তাই তাদের হাতে দিতে এসেছি। কলকাতা পুলিশ তদন্ত করাকালীন আমার কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত তথ্য ছিল না।’’

আরও পড়ুন- ২৩ বছরের দাম্পত্যে ২৪ সন্তানের মা…! মহিলার কীর্তি ফাঁস হতে তাজ্জব সকলেই

উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি চেয়েছেন কুণাল। তবে দলের কিছু ভুল সংশোধন প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সোমবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই নিয়ে পর পর চার দিন সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন সন্দীপ। তার মাঝেই সিবিআই দফতরে গেলেন কুণাল।