ডার্বি হেরে গেলেও ইস্টবেঙ্গলের বড় প্রাপ্তি ডিফেন্ডার ইভান এবং কিরিয়াকুর লড়াই, বলছেন কোচ

#কলকাতা: ম্যাচের রেজাল্ট বলছে আবার একটা ডার্বি হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। এই নিয়ে পরপর ছটা বড় ম্যাচ হার লাল হলুদ ব্রিগেডের। সমর্থকদের কাছে যে পরিসংখ্যান মোটেও মনে রাখার মত নয়। কিন্তু কথা হচ্ছে রবিবাসরীয় ডার্বিতে যুবভারতীর সবুজ মাঠে সবকিছুই কী খারাপ ছিল ইস্টবেঙ্গলের?

আরও পড়ুন – বিরাটের ৩৫ রান কিন্তু ভুলে যাবেন না! কোহলির ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেখছেন সৌরভ

মোটেও না। আত্মঘাতী গোলে জিতেছে মোহনবাগান। কিন্তু সেটা ফুটবলের অংশ, হতেই পারে। তার জন্য সুমিত পাসিকে দোষ দিতে রাজি নন কোচ এমনকি সমর্থকরাও। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের দুজন বিদেশি ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস এবং কিরীয়াকু যথেষ্ট নজর কেড়েছেন ম্যাচে। স্প্যানিশ ইভান এবং সাইপ্রাসের কীরিয়াকু না থাকলে মোহনবাগানের জয়ের ব্যবধান আরও বেশি হতে পারত।

হয়নি এই দুজন ডিফেন্ডারের অনমনীয় লড়াই এবং বুদ্ধির কারণে। সমর্থকদের মন কেড়ে নিয়েছেন দুজনেই। কীরিয়াকু গোল লাইন সেভ করেন। ইভান লিস্টন, কিয়ানদের পা থেকে বেশ কয়েকবার বল কেড়ে নেন। এই দুজনকে নিয়ে খুশি ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন।

দুজনেই যে লম্বা রেসের ঘোড়া সেটা বোঝা গেছে। ইভান অবশ্য নতুন নন ভারতীয় ফুটবলে। এফ সি গোয়ার হয়ে তিনি আইএসএলে খেলেছেন। কিন্তু কীরিয়াকু যে আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গলকে সার্ভিস দেবেন সেটা পরিষ্কার। এদিকে, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই প্রতিপক্ষ ডাগ-আউটের দিকে এগলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।

অভিনন্দন জানালেন হুয়ান ফেরান্দোকে।  গোলরক্ষক কমলজিতের কাঁধে হাত রেখেই মাঠ ছাড়লেন স্টিফেন। ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে প্রথম ডার্বিতে হার। অবশ্যই অতৃপ্তির। তবে ছেলেদের লড়াইয়ে গর্বিত স্টিফেন। একই সঙ্গে মরশুমের শুরুতেই এক সপ্তাহে তিনটে ম্যাচ খেলা নিয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ।

জানালেন, এদিন সিলি মিসটেকের জন্যই হারলাম। এটাই ফুটবল! তবে ছেলেরা ক্রমশ উন্নতি করছে। ছ’দিনে তিনটে ম্যাচ। এটা পাগলামি ছাড়া অন্য কিছু নয়। মোহনবাগানকে অভিনন্দন। স্টিফেন জানাতে বললেন না ডুরান্ড কাপ কার কাছে আইএসএলের আগে অ্যাসিড টেস্ট। ছেলেদের তৈরি করে নেওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য।