বিরাট প্রচেষ্টা… লিলুয়া থেকে হাওড়া, এবার কি যাত্রাপথে ভোগান্তি কমবে হাওড়া রেল ডিভিশনে?

হাওড়া: পূর্ব রেলের অন্যতম বৃহৎ ও ব্যস্ততম ইয়ার্ডগুলির মধ্যে হাওড়া ইয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। এখানে ২৫টিরও বেশি লাইন, ১০৮টি পয়েন্ট ও ক্রসিং এবং ১৭টি ডায়মন্ড ক্রসিং রয়েছে যেগুলি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলকারী লাইনের উপর অবস্থিত। ইয়ার্ডে ৬৫টি ফোর্সড লে-আউট, তীক্ষ্ণ বাঁক এবং গেজ ও অ্যালাইনমেন্তের মতো বেশ কিছু সমস্যা ও ছিল।

এই বিস্তৃত ট্র্যাকে  ট্রেন চলাচলের কারণে পয়েন্ট ও ক্রসিং রক্ষণাবেক্ষণ কাজ ও কার্যক্রমের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা একটি কঠিন কাজ ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে সম্পূর্ণ ইয়ার্ডের একটি সমীক্ষা করা হয়েছে যাতে সমস্ত  সমস্যা গুলি সঠিক ভাবে শনাক্তকরণ করা যায়।  এই উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল পয়েন্ট ও ক্রসিং-এর ট্যাম্পিং (ব্যালাস্ট প্যাকিং) কাজ, যা এই ব্যস্ত ইয়ার্ডে আগে কখনও করা হয়নি। এই কাজটি এমনভাবে পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হয়েছে যাতে ইয়ার্ডের নিরাপত্তা ও কার্যক্ষমতা উন্নত করার একটি বড় এবং জটিল প্রকল্প সফলভাবে প্রথমবারের মতো শেষ হয়েছে ।

আরও পড়ুন:  আবার কী ঘটল আরজি করে! ফের জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান-স্লোগান! নিশানায় ‘সেই’ ১২ জন

 হাওড়া ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহায়তায় পয়েন্ট ও ক্রসিং-এর ট্যাম্পিং (ব্যালাস্ট প্যাকিং) করে ট্র্যাকের গুণমান উন্নত করার কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া এই কাজটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে  সিগন্যাল ও টেলিকম এবং অপারেটিং বিভাগের বহু কর্মীদের একত্রিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ৯১ দিনের মধ্যে, ট্র্যাফিক ব্লক নিয়ে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন না ঘটিয়ে শেষ হয়।

এই প্রকল্পের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি ছিল অনেক, যেমন ব্যস্ত ইয়ার্ড, ট্র্যাকের নীচে সিগন্যাল ও টেলিকমের কেবলগুলির জট, উচ্চ ট্রেন চলাচলের কারণে রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যার সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি। তবে, অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই প্রকল্প সফলভাবে শেষ করা হয়েছে। এই সমগ্র কাজটি হাওড়া স্টেশনে ট্রেন প্রবেশ বা প্রস্থানের সময় দ্রুততর করার লক্ষ্যেই করা হয়েছে, যা যাত্রীদের মূল্যবান যাত্রার সময় সাশ্রয় করবে।