কলকাতা: সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং৷ গত কয়েক মাসে হয় তৃণমূলেরই কোনও নেতা নয়তো দলের নেতাদের আশ্রয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের একের পর এক কুকীর্তি সামনে এসেছে৷ যার ফলে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের৷ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরাসরি দলের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলে দিলেন, এবার থেকে কারও বিরুদ্ধে কোনও অন্যায়, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠলেই তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে দল৷ প্রয়োজনে সম্পর্ক ছেদ করা হবে৷
এ দিন বার বারই মমতার মুখে দলের কর্মীদের জন্য সতর্কবার্তী শোনা গিয়েছে৷ তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমরা যত জিতব, তত আমাদের নরম হতে হবে, তত আমাদের দায়িত্ব বাড়বে৷ তত আমরা মানুষের কর্মী হতে পারব। তৃণমূল কংগ্রেস মানে কোনও একটা রাজনৈতিক দল নয়, এটা মানুষের দল। আমি বিত্তবান চাই না, বিবেকবান চাই৷ যাঁদের আবেগ আছে, অশ্রু আছে, আমি তাঁদের চাই। পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধায়ক, সাংসদ- আমি সবাইকে বলছি৷ এখন থেকে কোনও অভিযোগ যেন না আসে, না হলে আমি পদক্ষেপ নেব৷’
আরও পড়ুন: ‘তিনটে দলের সঙ্গে লড়ে জিতেছি!’ একুশের মঞ্চ থেকেও কংগ্রেসকে বিঁধলেন মমতা
এখানেই শেষ নয়, দলের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘যাঁরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েও পরিষেবা দেবেন না তাঁদের সঙ্গে আমরা কোনও সম্পর্ক রাখব না৷’ দুর্নীতি, সালিশির নামে মানুষের উপর অত্যাচার, দাদাগিরির মতো যে যে অভিযোগ তৃণমূলের নিচুতলার নেতাদের বিরুদ্ধে উঠছে, তাতে যে তিনি বিব্রত, তা এ দিন মমতার বক্তব্যেই স্পষ্ট৷
বক্তব্য শেষ করার সময়ও দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘কী, আপনারা দুর্নীতিতে জড়াবেন না তো, অন্যায়ের সঙ্গে আপস করবেন না তো? ‘ পাশাপাশি তৃণমূলের পুরনো কর্মীদেরও গুরুত্ব দিয়ে দলে সক্রিয় করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন. ‘কাউকে বাদ দিয়ে বা অবহেলা করে নয়। যদি কোনো পুরানো সাথী রাগ করে গিয়ে বসে থাকে, তাহলে তার সঙ্গে কথা বলে তাকে ফিরিয়ে আনুন।’