স্ত্রীর সঙ্গে থানার দারোগার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে৷ তাই স্ত্রী তাঁকে এড়িয়ে চলছেন৷ এমনই অভিযোগ করে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিলেন এক যুবক৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে৷জানা গিয়েছে, স্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পড়ে ফেলেন স্বামী৷ তা থেকেই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারেন তিনি৷কমিশনারকে লেখা চিঠিতে ওই যুবক অভিযোগ করেন, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পুলিশ অফিসার তাঁর স্ত্রীকে লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেন৷যুবকের আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, পুলিশ অফিসারকে তাঁর স্ত্রী পাল্টা লেখেন, স্বামীকে আগে জেলে ঢোকানোর বন্দোবস্ত করলে তবেই তিনি লং ড্রাইভে যাবেন৷কানপুর জেলার গোয়ালটোলি থানা এলাকার সুজাতগঞ্জ রেল বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে৷ ওই যুবক পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কারণ থানার ওই অফিসার৷শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন ওই যুবক৷ এমন কি, স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে সেগুলিও প্রিন্ট করে অভিযোগ পত্রের সঙ্গে জমা করেছেন তিনি৷যুবকের অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে৷ যুবক জানিয়েছেন, পণের দাবিতে স্ত্রীকে অত্যাচারের মতো মিথ্যে মামলা করে তাঁকে হয়রান করছেন সুনীল নামে ওই পুলিশ অফিসার৷ওই যুবক জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে গোয়ালটোলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী৷ সেই সূত্রেই ওই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়৷
