Tripura: টাকার অভাব নেই, কাজ করতে হবে যথাযথ, ইঞ্জিনিয়ারদের বার্তা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

ত্রিপুরা: রাস্তা, পানীয়জল, বিদ্যুৎ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণে সরকারের টাকার কোন অভাব নেই, স্পষ্ট করে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। তিনি জানান, সরকারের মুখ হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারগণ। আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারগণ বিদেশে গিয়ে সুন্দর সুন্দর বিল্ডিং, ইমারত তৈরি করছেন। আরও অনেক সৃষ্টিশীল কাজ করছেন। আর সেটা দেশ বা রাজ্যে কেন হবে না? আমাদের কাছে মেধার কোনও অভাব নেই। রাস্তাঘাট, পানীয়জল, বিদ্যুৎ মানুষের জন্য খুবই অপরিহার্য। মূলত, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষ চায় এবং এসবের রূপায়নের দায়িত্ব অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারদের। উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়নে সরকারের টাকার কোন অভাব হবে না।

আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে ত্রিপুরা স্টেট ইঞ্জিনিয়ারস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির ও কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুন: গুজরাতে অব্যাহত বৃষ্টির দাপট, প্রবল বর্ষণে রাস্তা ধসে উল্টে গেল গাড়ি; রাস্তাঘাটও জলের তলায়

পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রক্তদানের মতো সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। অনেক সময় দেখা যায় শুধু রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। গতবার তো এক জায়গায় ভোট পর্যন্ত বয়কট করা হয়েছে। মানুষ চায় রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানীয়জল। বেশি কিছু কিন্তু মানুষ চায় না। তাই এসবের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব অনেকাংশে ইঞ্জিনিয়ারদের উপর বর্তায়। এসব পাওয়ার জন্য কেন মানুষ রাস্তায় বসে আন্দোলন করবে? এসব আমরা আগে দেখে এসেছি। বর্তমান সরকার চায় সকল অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন। রাজ্যের উন্নয়নে সরকারের তরফে যা যা করার দরকার সেটা করা হবে।

আরও পড়ুন:  সোমবার থেকেই আইনকানুন বদলে যাচ্ছে দেশে, ব্রিটিশ আমলের বিধির বদলে এবার মোদি সরকারের নতুন ‘ক্রিমিনাল ল’

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, মানুষের কাছে পরিশ্রুত পানীয়জল পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এসব কাজকর্ম যাতে ভালোভাবে রূপায়িত করা যায় সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের। তাদের কর্মদক্ষতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সময়ের মধ্যে যাতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ রূপায়ণ করা যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিএম, এসডিএম ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাতে আলোচনা করা যায় সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এদিন স্বেচ্ছা রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষার জন্য স্বেচ্ছা রক্তদানে সকল অংশের মানুষকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন চিকিৎসক মুখ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,  রাজ্যের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সরকার অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন কাজকর্ম রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ডেন্টাল কলেজ শুরু করা হয়েছে। রাজ্যে এইমসের ধাঁচে একটি উন্নত মানের হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য এবার দিল্লি গিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি রাজ্যের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পুরস্কৃত হয়েছে। এখন আর রোগীদের কথায় কথায় বাইরে রেফার করতে হয় না। মোট কথায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।