সাধারণত ছোটবেলা থেকেই সবাই দুধ পান করে। দুধে আমাদের শরীরের শক্তি ও জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে। দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পটাশিয়ামের পাশাপাশি দুধ পান করলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।কিন্তু যে দুধ এত উপকারী আপনি কি কখনও তার গুণমান পরীক্ষা করে দেখেছেন? হ্যাঁ, আমরা সহজেই বাড়িতে কিছু পরীক্ষা করতে পারি দুধে ভেজালের উপস্থিতি শনাক্ত করতে এবং শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত আমরা প্রতিদিন যে দুধ পান করি তার গুণমান পরীক্ষা করতে পারি সহজ কিছু উপায়ে।ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) দুধে সাধারণ ভেজাল সনাক্ত করতে কিছু সহজ পরীক্ষার সুপারিশ করে থাকে। চলুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে।জলের মিশ্রণ পরীক্ষা: এক ফোঁটা দুধ নিয়ে মাটির মতো মসৃণ ঢালে ছিটিয়ে দিন। দেখুন এরপর কী হয়। যদি এটি খাঁটি দুধ হয় তবে দুধের ফোঁটা জায়গায় স্থির থাকে বা ধীরে ধীরে প্রবাহিত হয়। কিন্তু দুধে জল থাকলে দুধ দ্রুত প্রবাহিত হয়। কারণ ভেজালহীন দুধে উচ্চ সান্দ্রতা এবং স্থিতিস্থাপকতা রয়েছে।মিল্ক পাউডার মিক্স টেস্ট: ২-৩ মিলি দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা করুন। এতে ২-৩ ফোঁটা আয়োডিনের দ্রবণ ঢালুন। যদি এটি ভেজাল দুধ হয় তবে রঙ পরিবর্তন হবে না বা সামান্য হলুদ হয়ে যাবে। কিন্তু দুধে কোনও স্টার্চ যোগ করা হলে অবিলম্বে দুধের রং নীল হয়ে যাবে।ডিটারজেন্ট মিশ্রণ পরীক্ষা: একটি গ্লাস বিকারে ৫ মিলি দুধ নিন। দুধে সমান পরিমাণ জল যোগ করুন। তারপর এই মিশ্রণটি ভাল করে নেড়ে নিন। দুধ ভেজালমুক্ত হলে ফেনা হবে না বা সামান্য ফেনা হবে মাত্র। কিন্তু দুধ ডিটারজেন্ট মেশানো হলে তাতে ফেনা হয়ে যাবে।
ইউরিয়া ভেজাল পরীক্ষা: একটি টেস্টটিউবে ৫ মিলি দুধ নিন। দুধে সমপরিমাণ সয়াবিন বা ডালের গুঁড়ো যোগ করুন। পাঁচ মিনিট ভাল করে নেড়ে দিন। এবার এই মিশ্রণে একটি লাল লিটমাস পেপার ডুবিয়ে দিন। দুধ ভেজাল মিশ্রিত হলে লাল লিটমাস কাগজের রং পরিবর্তন হয় না।ইউরিয়া দুধের সঙ্গে মেশানো হলে লাল লিটমাস পেপার সঙ্গে সঙ্গে নীল হয়ে যাবে।ফরমালিন মেশানো টেস্ট: একটি টেস্টটিউবে ১০ মিলি দুধ নিন। টেস্টটিউবে ২-৩ ফোঁটা ঘনীভূত সালফিউরিক অ্যাসিড ঢালুন। এ সময় কোনও কারণেই এটি নাড়াচাড়া করবেন না। দুধ ভেজাল মিশ্রিত না হলে উভয়ের রং পরিবর্তন হবে না। এতে ফরমালিন মেশানো হলে দুধ ও অ্যাসিডের মধ্যে নীল রিং দেখা দেবে।কৃত্রিম দুধ পরীক্ষা: ৫ মিলি দুধে সমান পরিমাণ জল যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ভাল করে নেড়ে নিন। খাঁটি দুধে ফেনা হয় না। কিন্তু কৃত্রিম দুধ ফেনাযুক্ত।দাবিত্যাগ: প্রিয় পাঠক, আমাদের এই প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুধুমাত্র আপনাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই এটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় ঘরোয়া প্রতিকার ও সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। এটি গ্রহণ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
