দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর মুকুট উঠল রফিয়াত রশিদ মিথিলার মাথায়

Mithila: ‘ও অভাগী’ ছবিতে দুর্ধর্ষ অভিনয়; দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর মুকুট উঠল মিথিলার মাথায়

কলকাতা: নিজের অভিনয়ের জাদুতে দুই বাংলার ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন রফিয়াত রশিদ মিথিলা। আর এবার ১৪-তম দাদা সাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রী-র শিরোপা উঠল তাঁর মাথায়।

দিন কয়েক আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘ও অভাগী’। অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’-এর উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী। সেই ছবিতেই মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিথিলাকে। আর অভাগীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অভাগী চরিত্রটিতে অভিনয় করার জন্যই অভিনেত্রীর ঝুলিতে এল সেরা অভিনেত্রী-র পুরস্কার। তবে পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেননি রফিয়াত রশিদ মিথিলা। সেই সময় দেশে ছিলেন না তিনি। ফলে অভিনেত্রীর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন ছবির পরিচালক এবং প্রযোজক। তবে এহেন সম্মান পেয়ে আপ্লুত খোদ অভিনেত্রীও।

আরও পড়ুন– মাত্র ২০ বছরেই মৃত্যু হল ক্রিকেটারের ! প্রয়াত ব্রিটিশ স্পিনার জশ বেকার

একটি ভিডিও-য় মিথিলাকে বলতে শোনা যায়, “আনন্দের সঙ্গে সকলকে জানাতে চাই যে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৪-তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ আমি সেরা অভিনেত্রী-র সম্মানে ভূষিত হয়েছি। ‘ও অভাগী’ ছবিতে আমার অভিনয়ের জন্যই আমি এই পুরস্কার পেয়েছি। আমি আমাদের পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রযোজক ড. প্রবীর ভৌমিক এবং আমাদের গোটা টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, ‘ও অভাগী’ ছবিতে রসিক চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরজে সায়নকে এবং জমিদারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুব্রত দত্ত। আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, আরজে জিনিয়া, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌরভ হালদার। জাতপাত আজকের দিনেও প্রচলিত। এটাই ফুটে উঠেছে এই ছবির কাহিনিতে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব ও মৃত্যুর যে নিষ্ঠুর বাস্তব – সেটাও ছবির ছত্রে ছত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। আর প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই নিজেদের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে চরিত্রগুলিকে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর ছবিতে গ্রামের দৃশ্যপটও সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন ডিওপি মলয় মণ্ডল।

আরও পড়ুন– আমির খানের বাবা চাননি ছেলে অভিনেতা হোক, কপিল শর্মা শো-এ জানালেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট

এই ছবির প্রসঙ্গে পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “প্রান্তিক গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দূলে জাতকে যে জাতপাত এবং শোষণের শিকার হতে হয়েছে, সেই রূঢ় বাস্তবটাকেই তুলে ধরা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল শরৎচন্দ্রের আসল গল্পটির নির্যাস অক্ষুণ্ণ রেখে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। সত্তরের দশকের গ্রামবাংলার সমসাময়িক বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে নতুন চরিত্রও আনা হয়েছে।”