ত্রিপুরার বন্যায় প্রাণ গিয়েছে অজস্র, আহত আরও অনেক! দুঃস্থ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন মোদি

Modi Helps Tripura Flood Victims: ত্রিপুরার বন্যায় প্রাণ গিয়েছে অজস্র, আহত আরও অনেক! দুঃস্থ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন মোদি

কলকাতা: ভয়াবহ বন্যায় মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নিকটাত্মীয়দের জন্য প্রাইম মিনিস্টার ন্যাশলাল রিলিফ ফান্ড (PMNRF) থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের জন্য ৫০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এর পাশাপাশি এই সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, আপনার সহানুভূতি এই কঠিন সময়ে ব্যাপক সহায়তা প্রদান করেছে।

উত্তরপত্রে রাজনৈতিক স্লোগান নয়! উচ্চ মাধ্যমিকে কড়া ব্যবস্থা, জানুন বদল-বৃত্তান্ত

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে আগত কেন্দ্রীয় দলের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। ত্রিপুরায় বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নে গত ২৮ আগস্ট রাজ্যে আসে আন্তঃমন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দুইদিনে চার জেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে শুক্রবার সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহার সাথে দেখা করে এই প্রতিনিধি দল।

আলোচনায় এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছে যে বন্যা পরিস্থিতি এবং এর ফলে সৃষ্ট  ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রতিবেদন শীঘ্রই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য রাজ্য সরকারের অনুরোধ ক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো দলটি গত দুদিন ধরে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতি, সিপাহীজলা এবং খোয়াইয়ের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে।

আরও পড়ুন- চরম অনাস্থা? ক্ষোভ? প্রকাশ্যে পুলিশকে বেধড়ক মার রাস্তার মোড়ে! ভাইরাল ভিডিও

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট ত্রিপুরার বন্যা-দুর্গত মানুষের জন্য আরও সাহায্য ও সহায়তার ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এনজিও তারা প্রত্যেকেই এগিয়ে এসেছে বন্যাত্রাণে সাহায্য করতে।

বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি ঠিক হতে শুরু করেছে। তবে পার্বত্য অঞ্চলগুলোর অবস্থা এখনও যথাযথ নয়৷ বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভূমিধ্বস নেমে বাড়ি ভেঙে গিয়েছে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সময় লাগবে। আপাতত তাই ত্রাণ কাজে সময় লাগছে।