দেবাদিদেব মহাদেব ভক্তদের ত্রাতা৷ নিষ্ঠাভরে তাঁর আরাধনা করলে এবং মন দিয়ে তাঁকে ডাকলে তিনি সমস্ত বিপদ থেকেই আমাদের রক্ষা করে থাকেন৷ পণ্ডিতেরা বলে থাকেন, মহাদেব খুব অল্পেই তুষ্ট হন৷ শুধু তাঁর কিছু প্রিয় বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলে সহজেই তাঁর কৃপা পাওয়া যায়৷দিল্লির জ্যেতিষী পণ্ডিত অলোক পাণ্ড্য জানাচ্ছেন, প্রতি রবিবার একটি বিশেষ জিনিস মহাদেবের পূজা করলে তিনি ভক্তের উপর অত্যন্ত খুশি হন৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপরে সর্বদা বজায় থাকে শিবের আশীর্বাদ৷ কী সেই জিনিস? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ৷মহাদেবের অনেক কিছুই প্রিয়৷ প্রিয় আকন্দ ফুল, বেলপাতা, কাঁটা ফল, ধুতুরা ফুল৷ বেল পাতাও মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করা হয়৷ তাই মহাদেবের পুজোর সময় পণ্ডিতেরা সবসময় এই জিনিসগুলি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ কিন্তু, তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি সোমবার মহাদেবের চরণে একটি বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে সবসময় তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়৷মহাদেবের নিরাকার রূপ অর্থাৎ, শিবলিঙ্গের পূজা করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে, যা পূজা করার আগে জানা খুবই জরুরি। এই নিয়মগুলির মধ্যে একটি হল মহাদেবের শিবলিঙ্গে ঘি অর্পণ করা। শিবলিঙ্গের পূজা করার সময় মহাদেবকে পাঁচটি জিনিস দিয়ে স্নান করানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই, ঘি, চিনি ও মধু। তাই শিবলিঙ্গে ঘি অর্পণ করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতি সোমবার শিবলিঙ্গে ঘি নিবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তেজ বাড়ে এবং তাঁর জীবনে আনন্দও আসে।শিবলিঙ্গের পূজা করার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান। মহাদেবের আরাধনা করলে মানুষের মন শান্ত হয়। এর পাশাপাশি শিবলিঙ্গে ঘি নিবেদন করলে মানসিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।যদি ভগবান শিবকে খুশি করতে চান এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে চান তবে সোমবার শুদ্ধবস্ত্রে নিষ্ঠাভরে শিবলিঙ্গে ঘি অর্পণ করুন। পূজা শেষে মহাদেবকে মনের ইচ্ছে জানান৷ সাধারণ বিশ্বাস, মনের মধ্যে কোনও ইচ্ছা থাকলে এবং সেই কামনা করার সময় যদি শিবলিঙ্গে ঘি নিবেদন করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করেন।যদি ভগবান শিবকে খুশি করতে চান এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে চান তবে সোমবার শুদ্ধবস্ত্রে নিষ্ঠাভরে শিবলিঙ্গে ঘি অর্পণ করুন। পূজা শেষে মহাদেবকে মনের ইচ্ছে জানান৷ সাধারণ বিশ্বাস, মনের মধ্যে কোনও ইচ্ছা থাকলে এবং সেই কামনা করার সময় যদি শিবলিঙ্গে ঘি নিবেদন করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করেন।দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
