প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷

Narendra Modi At 74:নয়া ফেলোশিপ, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে অনন্য পদক্ষেপ ব্লু ক্রাফ্ট ডিজিটাল ফাউন্ডেশন-এর

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৪তম জন্মদিন উদযাপনে নয়া ‘পাবলিশিং অ্যান্ড নলেজ সেন্টার’-এর প্রতিষ্ঠা করল ব্লু ক্রাফ্ট ডিজিটাল ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে শুরু হল ‘বিক্ষিত ভারত ফেলোশিপ’। এই প্রকল্পে ২৫ জন কে ফেলোশিপ দেওয়া হয়ে। এই প্রকল্প যেমন একদিকে উদীয়মান প্রতিভাদের জীবনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে পাথেয় হবে, তেমনি অন্যদিকে অভিজ্ঞ, ব্যতিক্রমী পেশাদার মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।

দিনটা ছিল ৭ অক্টোবর, ২০০১। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হয়ে নরেন্দ্র মোদিকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী (সিএম) হিসাবে শপথ নেন। সেই সময় পর্যন্ত, শপথ গ্রহণে বেশিরভাগ সময়ই নির্বাচিত কয়েকজন উপস্থিত থাকতেন। শপথগ্রহণের পর নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী নিজের অফিসে গিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করতেন। প্রথমবারের মতো গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মোদি ‘ভারত মাতা নি জয়’ ধ্বনি দিয়ে তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন। মোদি মঞ্চ থেকে একটি ধূসর কুর্তা পরে নেমে আসেন এবং ‘আপানু গুজরাট, আগাভু গুজরাট’-এর স্লোগানের মধ্যে দিয়ে ভিড়ের সামনে একটি খোলা জিপে করে বেরিয়ে আসেন। আর সেদিনই একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূত্রপাত হয়। যা বাকি রাজনীতিবিদদের বুঝতে কয়েক দশক সময় লেগে যায়।

নরেন্দ্র মোদি একদিনের পরিশ্রমে প্রধানমন্ত্রী হননি। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর আগে, যখন তাঁকে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন তিনি একটি সংঘ প্রচারক এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন।

মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪) ৭৪ বছরে পা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রশান্ত কিশোর — মোদির ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক কৌশলবিদ — সম্প্রতি বলেন যে, মোদির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ৫০ বছরের প্রশাসনের এক অনন্য মিশ্রণ। গুজরাতের ভাদনগরের একজন সাধারণ চা বিক্রেতা থেকে ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়া পর্যন্ত মোদির রাজনৈতিক যাত্রা গতিশীল এবং শিক্ষামূলক।