প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷

Narendra Modi: রাজনীতির লড়াই ছেড়ে দেশের জন্য এক হওয়ার ডাক, মোদির পরামর্শ শুনবেন বিরোধীরা?

কলকাতা: বাজেট অধিবেশনে সংসদে একজোট হয়ে সরকারের বিরোধিতায় নামতে পারে বিরোধীরা৷ ফলে আজ থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাজেট এবং বাদল অধিবেশনেও সংসদ কতটা সুষ্ঠু ভাবে চলতে পারবে, সেই আশঙ্কা রয়েছে৷ আগামিকাল কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশের আগে তাই বিরোধীদের রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য সংসদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই আর্জি বিরোধী শিবির কতটা শুনবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই৷

এ দিন সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সাংসদদের কাছে বিনীত ভাবে বলছি, গত জানুয়ারি মাস থেকে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে যা লড়াই করার করেছি৷ কেউ জনতাকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেছে৷ দেশবাসী নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন৷ রাজনৈতিক লড়াই যা হওয়ার হয়েছে, এবার নির্বাচিত সব সাংসদদের কর্তব্য, সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব, আগামী পাঁচ বছর দেশের একসঙ্গে লড়তে হবে৷ আসুন আমরা আগামী চার সাড়ে চার বছরে দলের ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র দেশের কথা ভেবে সংসদের এই গৌরবময় মঞ্চের ব্যবহার করি৷ আবার ২০২৯-এ লোকসভা ভোটের সময় রাজনৈতিক লড়াই করা যাবে৷ ততদিন দেশের গরিব, যুব, মহিলাদের উন্নতি, সশক্তিকরণ, ২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সর্বশক্তি লাগিয়ে দিই৷’

বিরোধীদের উদ্দেশ্যে যেমন একদিকে নমনীয় বার্তা দিয়েছেন মোদি, সেরকমই গত বছরে বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে৷ সংসদের শেষ অধিবেশনে লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে৷ সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷

আরও পড়ুন: ‘বিত্তবান নয়, বিবেকবান চাই!’ অন্যায় করলেই সম্পর্ক ছেদ, নেতাদের হুঁশিয়ারি মমতার

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের পর কোনও সাংসদ ৫ বছর সময় পেয়েছেন, কেউ দশ বছর সময় পেয়েছেন৷ কিন্তু কিছু দলের নেতিবাচক রাজনীতির জন্য সব সাংসদ নিজেদের এলাকার সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরতেই পারেনি৷ অনেক রাজনৈতিক দল সংসদের অপব্যবহার করেছেন৷ অন্তত নতুন সাংসদদের কথা ভেবে তাঁদের আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিন৷ ১৪৭ কোটির জনতা এই সরকারকে দেশসেবার হুকুম দিয়েছে৷ জনতা এখানে আমাদের দেশের জন্য পাঠিয়েছে, দলের জন্য নয়৷ এই সংসদও দেশেরই, কোনও দলের নয়৷ আড়াই ঘণ্টা ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর রোধ করার চেষ্টা যেভাবে হয়েছে, তা কোনও গণতন্ত্রে জায়গা পেতে পারে না৷’

প্রধানমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, ৬০ বছর পর কোনও সরকার পর পর তিনবার ক্ষমতায় এল এবং তাদের প্রথম বাজেট পেশ করতে চলেছে৷ আমি দেশবাসীকে যে গ্যারান্টি দিয়ে এসেছি, তার বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে চলেছি৷ এই বাজেট অমৃতকালের গুরুত্বপূর্ণ বাজেট৷ আগামী পাঁচ বছরের দিশা তৈরি করবে এই বাজেট৷ স্বাধীনতার ১০০ বছরে বিকশিত ভারতের যে স্বপ্ন আমাদের আছে, তার মজবুত ভিত তৈরি করবে এই বাজেট৷