কনৌজ: সাধারণত পুলিশের ইন্সপেক্টর বা সাব-ইন্সপেক্টরদেরই ফাঁড়ি ইনচার্জ করা হয়, যাতে তিনি সেই এলাকা ভাল ভাবে সামলাতে পারেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের কনৌজে ঘটেছে উলটপুরাণ। কনৌজের পুলিশ সুপার অমিত কুমার আনন্দ দুই দিন আগে তাঁর এলাকায় পুলিশে বেশ কিছু রদবদল করেন।
এর মধ্যে দেখা যায় কনৌজের গুরসাহাইগঞ্জ থানার হেড কনস্টেবল সুধীর সিংয়েরও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন তাঁকে হয়তো অন্য কোনও থানায় পাঠানো হবে। কিন্তু বদলির চিঠি পেয়েই চমকে যান সুধীর। তিনি দেখেন তাঁকে অন্য কোনও থানায় নয়, বরং ফাঁড়ির ইনচার্জ করে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই খুশিতে ফেটে পড়েন সুধীর। জানা গিয়েছে, টানা পরিশ্রমের পুরস্কার হিসাবেই সুধীরকে ফাঁড়ির বড়বাবু করে দেওয়া হয়েছে।
পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই সেনাকর্মী, আর সুধীর নিজে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে। সুধীররা প্রায় পুরো পরিবারই দেশের সেবার সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, নিজে শুধুমাত্র হেড কনস্টেবল হলেও বহু ঘটনায় অপরাধীদের ধরার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সুধীরের। সেই জন্য পুরস্কার হিসাবে ফাঁড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুধীর সিংকে।
এই বিষয়ে কনৌজের পুলিশ সুপার অমিত কুমার আনন্দ জানান, পুলিশ রেগুলেশনের ৫৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী এরকম পদোন্নতি সম্ভব। সুধীর দীর্ঘ দিন ধরে সততার সঙ্গে প্রচণ্ড পরিশ্রম করছে। এই জন্যই গোটা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট পুলিশের উপর ভরসা রেখেছে।