মালদহ: ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচার তৈরি করেই বাজিমাত। এই আচারের চাহিদা এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মাসে রোজগার হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। দিনের পর দিন বাড়ছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই আচারের চাহিদা। ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন মালদহের একদল মহিলা। শুধুমাত্র আচার বিক্রি করেই তাঁরা এখন স্বনির্ভর। আপনিও ঘরোয়া এই পদ্ধতিতে আচার তৈরি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। মাসে রোজগার করতে পারবেন হাজার হাজার টাকা।
শুধুমাত্র একটু পরিশ্রম আর সময় দিতে হবে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন আচারের। আপনি আপনার পছন্দের ফলের আচার তৈরি করতে পারেন। কারণ বাজারে প্রায় সমস্ত আচারের চাহিদা রয়েছে।মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতয়ালি গ্রামের এই মহিলার মূলত আমের আচার তৈরি করেন। তবে এখন আম পাওয়া যায় না তাই চালতার আচার তৈরি করছেন।
আরও পড়ুনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ‘ম্যাজিক’ এই পানীয়, হুড়মুড়িয়ে গলবে মেদ, ৭ দিনেই হাতেনাতে ফল
সপ্তাহে এক কুইন্টাল আচার তৈরি করতে হয়। এই আচার দিল্লি, কলকাতা ও শিলিগুড়ি-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। একশো গ্রামের বোতল থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া যায়। তাপসী মণ্ডল বলেন, “আগে কিছুই কাজ করতাম না। এখন আচার বিক্রি করে ভাল রোজগার করছি। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার কাজে লাগছে সেই টাকা। আশা করছি আগামীতে আরও ভাল রোজগার হবে।”
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আচার বাইরে পাঠানো হয় বর্তমানে। তবে এই গোষ্ঠীর মহিলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত সরকারি মেলাগুলিতেও গিয়ে আচার বিক্রি করে থাকেন। প্রথমদিকে তাদের আচারের তেমন চাহিদা ছিল না। ধীরে ধীরে এই আচারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণ সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচার তৈরি করেন তাঁরা। কোনওরকম কেমিক্যাল বা অন্য কোন জিনিস মেশানো হয়।
পিংকি হালদার বলেন, প্রথম দিকে সেরকম আচারের চাহিদা ছিল না। আমরা সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে আচার তৈরি করি। এখন এই আচারের চাহিদা কলকাতা দিল্লী সহ বিভিন্ন জায়গায়। আমরা মাসে রোজগার করছি ৩০,০০০ টাকার বেশি। সাধারণত বাড়িতে যে পদ্ধতিতে আচার তৈরি করা হয় সেই ভাবেই তাঁরা আচার তৈরি করে আসছেন। এখন তাদের আচারের সুনাম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্পূর্ণভাবে স্বনির্ভর হয়েছেন এই গোষ্ঠীর সকল সদস্য।
হরষিত সিংহ