#দোহা: পর্তুগালের কোচ হিসেবে জীবনের অন্যতম সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। সেই সাহসী সিদ্ধান্ত কি যারা পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড খেলা দেখেছেন সকলেই জানেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একাদশে থাকবেন তো? দল ঘোষণার আগে থেকেই এই প্রশ্ন ছিল। দল ঘোষণার পর সে প্রশ্নের উত্তর রোনাল্ড ভক্তদের পক্ষে আসেনি।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোনালদোকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজান কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ২০০৪ সালের ইউরোতে রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর বড় টুর্নামেন্টে এই প্রথম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে ম্যাচ শুরু করে পর্তুগাল। সেই ম্যাচের পর ডেড রাবার ম্যাচ ছাড়া আর কখনও শুরুর একাদশের বাইরে ছিলেন না পর্তুগিজ তারকা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সান্তোস বলেন, এখনও কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাকি আছে। রোনালদোর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল, সব সময়ই ছিল। ১৯ বছর বয়স থেকে ওকে চিনি, ২০১৪ সালে আমি যখন পর্তুগালে আসি তখন জাতীয় গোলে সে তারকা হয়ে উঠছে। রোনালদো ও আমার মধ্যে কোনো ভুল–বোঝাবুঝি নেই। আমি তাকে এখনো দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করি।
Fernando Santos on Cristiano Ronaldo:
“There is no problem with our captain. We’ve been friends for years. We spoke before the game and he had no issue with my decision. He’s an example.” ??? pic.twitter.com/vzGNMXq8TQ
— LiveScore (@livescore) December 6, 2022
দলের প্রয়োজনে রোনাল্ডোকে অন্যভাবে খেলানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মনে করেন সান্তোস। সব সময় তাকে শুরু করতে হবে এমন মানে নেই। আবার তিনি শুরুতেও থাকবেন না একথাও জোর দিয়ে বলছেন না। প্রতিপক্ষ বুঝে স্ট্রাটেজি, এটাই ছক পর্তুগালের। পর্তুগাল কোচ বলছেন ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডোর উপস্থিতি দলের পক্ষে বিরাট শক্তি। তার নাম দেখলেই বিপক্ষ দলে চাপ থাকে।
মরক্কোর বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে প্রথম থেকে দেখতে পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটা টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে অযথা বিতর্কের প্রয়োজন নেই। তাহলে নতুন নায়ক গাঞ্জালো রামোস কী বাদ পড়তে চলেছেন পরের ম্যাচে? নাকি শুরু থেকেই খেলবেন রোনাল্ডো? সান্তোস বলছেন দলের স্বার্থে যেটা সেরা সিদ্ধান্ত হবে সেটাই গ্রহণ করা হবে।
তিনি দাবি করেছেন রোনাল্ডো নিজেও তার সঙ্গে সহমত। তবে কোচ যাই বলুন, যারা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে এত বছর ধরে দেখেছেন তারা মনে করছেন তার ইগো ধাক্কা খেয়েছে। এর ফলে যদি মরক্কোর বিরুদ্ধে রোনাল্ডো প্রথম থেকে শুরু করতে পারেন তাহলে কিন্তু সেদিন জ্বলে উঠতে মরিয়া থাকবেন সিআর সেভেন। বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। আসলে জিনিয়াসদের ইগো বড় সাংঘাতিক। কোচ জানতেন রোনাল্ডোর সেরাটা বের করতে গেলে কি করতে হবে।