Oath Taking Controversy: শপথগ্রহণ ঘিরে কাটল না জটিলতা, রাজ্যপালকে ফের চিঠি রায়াত-সায়ন্তিকার! আবেদন জানালেন স্পিকারও

কলকাতা: এখনও কাটল না তৃণমূলের দুই নির্বাচিত প্রতিনিধির শপথগ্রহণের জটিলতা। সোমবার বিকেল ৩ টেতেই শেষ হচ্ছে রাজ্যপালকে বেঁধে দেওয়া কুণাল ঘোষের সময় সীমা। আজ, সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে শপথ গ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালে, ‘আনটোল্ড স্টোরি’ প্রকাশ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ৷ ফলে নজিরবিহীন ঘটনা কার্যত ঘটতে চলেছে এই শপথ জটিলতা ঘিরে ৷ এদিকে আজকেও বিধানসভায় এসেছেন রায়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনে বৈঠকও করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

সূত্রের খবর, দুই নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ফের তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিতে চলেছেন। তেমনটা হলে এই নিয়ে রাজ্যপালকে চতুর্থ চিঠি দেবেন দুই নির্বাচিত প্রতিনিধি৷

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে নির্মম মার, আরও দুই মৃত্যু! গণপিটুনি রোগ এবার ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বরে

এদিন এই প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ফের রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানান, ‘‘রাজ্যপাল আজ আসুন দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ করান৷ রাজ্যপাল অযথা জেদাজেদি করছেন শপথ নিয়ে।’’

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইচ্ছাকৃত ভাবে শপথগ্রহণ ফেলে রাখছেন বলে অভিযোগ শাসক দলের। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাই বিধানসভার সিঁড়িতে ধর্নায় বসেছেন উপবির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। কিন্তু রাজ্যপালের অপেক্ষায় সায়ন্তিকা এবং রায়াত যখন বিধানসভার সিঁড়িতে বসে, সেই সময় রাজ্যপাল রওনা দিয়েছিলেন দিল্লির উদ্দেশে। এরপর রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি সকলের সাথে দেখা করেছেন তিনি।গত ৪ জুন বরাহনগর এবং ভগবানগোলা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়, যাতে সায়ন্তিকা এবং রেয়াত জয়ী হন। কিন্তু তার পর একমাস কাটতে চললেও, এখনও বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারেননি সায়ন্তিকা এবং রায়াত। সেই নিয়ে বিস্তর চিঠি চালাচালিও হয়েছে।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আইনকানুন বদলে যাচ্ছে দেশে, ব্রিটিশ আমলের বিধির বদলে এবার মোদি সরকারের নতুন ‘ক্রিমিনাল ল’

অন্যদিকে, এদিন কোচবিহার কাণ্ড নিয়ে বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ ও ধর্না প্রদর্শন করেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্পিকার বলেন, ‘‘অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়ক রা বিক্ষোভে করছেন। আমি ওদের অনুমতি দিইনি,কেন বসেছে জানি না।ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিভাবে দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে। গণপিটুনি নিয়ে আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে কিন্তু রাজ্যপাল সেই বিল সই করেননি।’’