কলকাতা: অলটারনেটিভ এবং লজিস্টিক হিলিংয়ের প্রসঙ্গে সিতারা- দ্য ওয়েলনেস স্টুডিওর বিশেষজ্ঞা পূজা চন্দ্রর কথা আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয়। অতি শৈশব থেকে নানা আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা যাত্রাপথ তাঁর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করেছে, এক ঝলকেই তিনি বলতে পারেন কে কেন কষ্টে রয়েছেন। প্যাশনেট ব্লগার পূজা এবার কলম ধরেছেন আমাদের জন্য, ভাগ করে নিচ্ছেন জীবন উন্নত করে তোলার সাপেক্ষে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী। জেনে নেওয়া যাক জন্মদিন মিলিয়ে কোন রাশির জাতক-জাতিকার ভাগ্য নিয়ে কী বলছেন তিনি!

মেষ: মার্চ ২১ থেকে এপ্রিল ১৯।

খরচে রাশ না টানলে আর্থিক সমস্যা হবে।
লাকি সাইন – গারনেট
শুভ রঙ – লাল
শুভ সংখ্যা – ৯

বৃষ: এপ্রিল ২০ থেকে মে ২০।

কর্মক্ষেত্রে অসুবিধার মুখে পড়তে হবে।
লাকি সাইন – টিকউডের আসবাব
শুভ রঙ – সবুজ
শুভ সংখ্যা – ৮

মিথুন: মে ২১ থেকে জুন ২০।

হাঁটা বা অন্য কোনও শারারিক সক্রিয়তা দরকার।
লাকি সাইন – সেলেনাইট
শুভ রঙ – বেইজ
শুভ সংখ্যা – ১৫

কর্কট: জুন ২১ থেকে জুলাই ২২।

ঝুঁকি নিতে পারলে কেরিয়ারে লাভ হবে।
লাকি সাইন – কারনেলিয়ান
শুভ রঙ – কমলা
শুভ সংখ্যা – ৩

সিংহ: জুলাই ২৩ থেকে অগাস্ট ২২।

আত্মকেন্দ্রিকতার বাইরে বেরিয়ে এবার কাজ করতে হবে।
লাকি সাইন – ট্যুরমালাইন
শুভ রঙ – গ্রে
শুভ সংখ্যা – ৪

কন্যা: অগাস্ট ২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২২।

টাকার লোভে পদক্ষেপ উচিত হবে না।
লাকি সাইন – পান্না
শুভ রঙ – ফরেস্ট গ্রিন
শুভ সংখ্যা – ২

তুলা: সেপ্টেম্বর ২৩ থেকে অক্টোবর ২২।

কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যে নিয়ে যাবে।
লাকি সাইন – গারনেট
শুভ রঙ – লাল
শুভ সংখ্যা – ১

বৃশ্চিক: অক্টোবর ২৩ থেকে নভেম্বর ২১।

কাজের মাঝে এবার একটু বিশ্রাম নিলে ভাল হয়।
লাকি সাইন – অ্যামাজোনাইট
শুভ রঙ – পিস্তা গ্রিন
শুভ সংখ্যা – ১৭

ধনু: নভেম্বর ২২ থেকে ডিসেম্বর ২১।

উপার্জনের নতুন উৎস খুলতে চলেছে।
লাকি সাইন – কোরাল
শুভ রঙ – টিল ব্লু
শুভ সংখ্যা – ১১

মকর: ডিসেম্বর ২২ থেকে জানুয়ারি ১৯।

মন খোলা রাখলে জীবনে ভালবাসা মিলবে।
লাকি সাইন – লাপিজ লাজুলি
শুভ রঙ – মেরুন
শুভ সংখ্যা – ৬

কুম্ভ: জানুয়ারি ২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৮।

নিজের যত্ন নেওয়াই হোক দিনটির লক্ষ্য।
লাকি সাইন – রুবি
শুভ রঙ – ট্যান
শুভ সংখ্যা – ১৮

মীন: ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে মার্চ ২০।

উপযুক্ত পরিকল্পনা খাটিয়ে চললে আর্থিক লোকসান হবে না।
লাকি সাইন – মুক্তা
শুভ রঙ – সাদা
শুভ সংখ্যা – ১২

পূজা চন্দ্র বিষয়ে কিছু তথ্য:

পূজা চন্দ্র পেশায় একজন হলিস্টিক হিলিং প্র্যাকটিশনার। এরই পাশাপাশি পূজা রেইকি গ্র্যান্ডমাস্টার এবং অন্যান্য হিলিং সার্টিফায়েড মোড নিয়ে গবেষণা করেছেন। টেরোট কার্ড পড়ার পাশাপাশি থেটা, বুদ্ধিস্ট, চক্র এবং পেট হিলিং থেরাপির মতো একাধিক বিষয়ে দক্ষ পূজা চন্দ্র হিলিং এবং এর বিকল্প থেরাপি বিষয়ে সিদ্ধহস্ত।

বিগত ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা এবং অনুশীলনে হিলিং থেরাপি নিয়ে পূজা এক একটি অসাধারণ কৌশল বা উপায় আবিষ্কার করেছেন।

শৈশব থেকেই একাধিক আধ্যাত্মিক বিষয়ে নিযুক্ত থেকে নিজের মনস্তাত্ত্বিক ক্ষমতাকে তিনি অসাধারণ স্তরে বিকশিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দীর্ঘ জীবনের পরিচর্যায় পূজা একজন সহানুভূতিশীল কিশোরী থেকে উন্নত মানের হিলিং থেরাপিস্ট হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।

পূজা মূলত এমন মানুষদের সঙ্গে কাজ করেন যাঁরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক বা শারীরিক উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভোগেন। নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় পূজা খুব সহজেই তাঁদের সাইকোলজিক্যাল সিস্টেম এবং সমস্যার জায়গাগুলি অনুধাবন করতে পারেন।

একজন অভিজ্ঞ হিলিং থেরাপিস্ট হিসাবে পূজা বিশ্ব জুড়ে যে কোনও জায়গায় ব্যক্তিগতভাবে এবং দূরত্বে থাকা মানুষদেরও কার্যকর হিলিং সেশন অফার করেন৷ যাঁরা পূজার সঙ্গে যোগাযোগে আগ্রহী তাঁরা তাঁর ওয়েবসাইটে www.citaaraa.com থেরাপি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। ওই ওয়েবসাইটে থেরাপির বর্ণনার পাশাপাশি যাঁরা হিলিং থেরাপির সাহায্য নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন মানুষরাও তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

তবে কেবলমাত্র হিলিং থেরাপিস্টই নন, পূজা চন্দ্র সেই সঙ্গে একজন দক্ষ লেখক, কবি এবং একজন ব্লগারও। তিনি প্রধানত তাঁর নিবন্ধ এবং প্রকাশিত ব্লগের মাধ্যমে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পছন্দ করেন যা জীবন সম্পর্কে আমাদের নতুন কিছু শেখায়।