Rizwan medicated pillow : যেখানেই যান সঙ্গে থাকে বালিশ, রিজওয়ানের এই কান্ড কেন জানেন?

#ঢাকা: পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযানে অন্যতম নায়ক ছিলেন রিজওয়ান। তার সাহসের ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও প্রশংসা করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে সবার নজর কেড়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে তিনি দুই দিন ছিলেন আইসিইউতে! তারপরও মাঠে নেমে খেলেন ৫২ বলে ৬৭ রানের নজরকাড়া ইনিংস। যদিও ম্যাচটা হেরে পাকিস্তানকে বিদায় নিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন – No Indian cricketer in ICC : টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেলেন না ভারতের কোনও ক্রিকেটার

সেই দল নিয়েই পাকিস্তান এসেছে বাংলাদেশ সফরে। শুধু এই সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞ হাফিজ। গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশে পা রেখেছে পাকিস্তান দল। এখানে তারা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। বিমানবন্দরে উপস্থিত ফটোগ্রাফারদের সৌজন্যে একটা ছবিতে সবার চোখ আটকে যায়। সতীর্থদের সঙ্গে মহম্মদ রিজওয়ান টিম বাসে উঠছেন হাতে একটা বালিশ নিয়ে! তারা থাকছেন পাঁচ তারা হোটেলে। বিলাসী জীবন যাপনের সকল আয়োজনই সেখানে আছে। তাহলে দুবাই থেকে বালিশ নিয়ে আসতে হল কেন রিজওয়ানকে?

সেই ছবির সৌজন্যেই ফেলুদার ‘বাক্স রহস্য’এর মত রিজওয়ানের ‘বালিশ রহস্য’ এর অনুসন্ধান শুরু হয়। এরপর জানা যা, রিজওয়ানের বিচিত্র শখের কথা। মানুষের তো কত কিছুই প্রিয় হতে পারে। কিন্তু বালিশ যে সেই প্রিয় তালিকায় থাকতে পারে- সেটা বিশ্বাস করা কঠিন! রিজওয়ানের এই বালিশ প্রীতি নাকি নতুন নয়। যেখানেই যান, সঙ্গে করে নিয়ে যান নিজের প্রিয় বালিশ। রিজওয়ান নিজের বাড়ি থেকে সেই বালিশ নিয়ে গেছেন দুবাইয়ে। তারপর দুবাই থেকে এল বাংলাদেশে।

পিসিবি জানিয়েছে, এ বালিশে খুব আরামের ঘুম হয় রিজওয়ানের। তাই দেশে কিংবা বিদেশে- সব জায়গাতেই রিজওয়ানের সঙ্গী এই বালিশ। রিজওয়ান জানিয়েছেন বালিশটি আসলে মেডিকেটেড। ডাক্তার তার ঘাড়ের আরামের জন্য দিয়েছেন। উইকেট-রক্ষক বলে কিপিং করার সময় সারাক্ষণ হেলমেট পড়ে থাকতে হয়। ব্যাটিং করার সময় তাই। ফলে ঘাড়ের কিছু পেশি শক্ত হয়ে যায়। রিকভার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার জন্য সঠিক ঘুম দরকার।

আজ সোমবার পাকিস্তান দল মিরপুরে অনুশীলন করলেও রিজওয়ান বিশ্রামে ছিলেন। পিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় এই ওপেনার বলেন, আমরা এই মাঠের সর্বশেষ সিরিজগুলোতে দেখেছি, এখানকার কন্ডিশন স্পিনারদের পক্ষে কথা বলে। এখনাকার উইকেটে বল ব্যাপক ঘোরে এবং গ্রিপ করে। আমি এখন বেশ ভালো অনুভব করছি। কাল নিশ্চিতভাবেই অনুশীলনে যাব। তখন উইকেট সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা নিতে পারব।

টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ১০০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন রিজওয়ান। ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে তৃপ্তি থাকলেও দলকে ফাইনালে তুলতে না পারার হতাশাও আছে রিজওয়ানের মাঝে, ‘রেকর্ড নিয়ে আমি খুশি। কিন্তু এই রেকর্ড যদি দেশের জন্য কাজে লাগত, তাহলে আরও খুশি হতে পারতাম। আমাদের এই বিশ্বকাপ যাত্রায় ভীষণ সহযোগিতা করেছেন ম্যাথু হেইডেন, রিচার্ড পাইবাস, ইনজামাম উল হক এবং শহিদ আসলাম। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।