লাহোর: পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ চলাকালীন তাদের নিম্ন মানের রুচির পরিচয় দিয়ে, অপমান করা হলো ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্থমানকে। লাহোর কালান্দার এবং ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ম্যাচে টাইম আউট চলাকালীন, বড় স্ক্রিনে দেখানো হয় ভারতীয় জেট পাইলট অভিনন্দন চা খাচ্ছেন। যার ফলে গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
পাকিস্তানের কৌতুকরস যে নিম্ন রুচির তা স্পষ্ট ভাবে গোটা বিশ্বের সামনে প্রকাশ পেল এই ঘটনায়। সাধারণ জ্ঞান এবং রুচিবোধের এতটাই অভাব থাকলে কোনো দেশ ক্রীড়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক অবমাননা করে। দর্শক ভরা স্টেডিয়াম জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা গেল ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে। তাকে সন্মান জানিয়ে নয়, বরং পাক আর্মির কাস্টডিতে থাকার সময় চা খাওয়ার ভিডিও।
এই দেখে ক্ষুব্ধ শুধু ভারতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মহলই নয়, পাকিস্তানের নিজের দেশের মানুষরা। তারা চায়না এই কাণ্ডের জন্য তাদের লিগকে শাস্তির মুখে পড়তে হোক। ইউরোপীয় ফুটবল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ধরনের আচরণের জন্য কড়া শাস্তি দেওয়া হয়। সাধারণত বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, কিন্তু সেটা লিগই বন্ধ হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের।
PSL LEVEL HAI TEA WAS FANTASTIC ?????✌️✌️????#Abhinandan#LQvsMS#Australia#PSLFinal pic.twitter.com/zwAHYnRFqK
— Muhammad Raza Alyas (@_mra999) February 27, 2022
তাদের অর্থনীতির শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে, অন্য দেশের সাহায্যে দেশ চলে। ক্রিকেট লিগকে ক্ষতিপূরণ দিতেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে হাত পাততে হতে পারে অন্য দেশের কাছে। ৪ বছর আগে, ২৬সে ফেব্রুয়ারি ভোর বেলা ভারতীয় বায়ুসেনা ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের সীমা লঙ্ঘন করে। পাকিস্তানি মাটিতে বালাকোটে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনা।
ঠিক তখনই আক্রমন করে পাকিস্তানি বায়ুসেনা, দল থেকে ছিটকে যায় আএএফ পাইলট অভিনন্দন বর্থমানের প্লেন। অনেক লড়াইয়ের পর, তার বিমান ভেঙ্গে পড়ার আগে প্যারাশুট নিয়ে ঝাঁপ দেন তিনি। পাকিস্তানের মাটিতে পরে গেলে, সেখানকার অধিবাসীরা আক্রমন করে অভিনন্দনকে এবং পাক সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি বেশ কয়েকদিন থাকেন পাক আর্মির হাতে, কিন্তু এক ফোঁটাও তথ্য বের করা যায়নি ভারতীয় বীর অভিনন্দনের থেকে। যদিও পাক সেনা কোনরকম দুর্ব্যবহার করেনি তাদের প্রতিবেশীর সাথে।