আবর্জনা ফেলে চলছে পুকুর বোজানোর চক্রান্ত… সমাধানের আশ্বাস কলকাতা পুরসভার

কলকাতা: কোথাও আবর্জনা ফেলে কোথাও বা আগাছাদিয়ে পুকুর বোজানোর চক্রান্ত চলছে শহরজুড়ে।  কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরপর জলাশয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। ১২ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোড এবং ১৯ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডেও একই ছবি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি একসময় ঘাট ছিল। সেই ঘাট আবর্জনায় বুজে গিয়েছে। জলাশয়ে জল নেই। বাসিন্দাদের আশঙ্কা একসময় এভাবেই পুকুর বন্ধ হয়ে বহুতল হয়ে যাবে। কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা জানান, সচেতনতার অভাব স্থানীয় বাসিন্দাদের। বারবার বলেও আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা যায়নি।  বিভাগীয় আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। আশ্বাস মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দারের।

১২ নম্বর গোবিন্দ খটিক রোডের পুকুরের কথাই ধরা যাক। কয়েক বিঘা নিয়ে পুকুর ছিল, এখন কয়েক কাঠাতে ঠেকেছে। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ রায় দুঃখ করে জানান, ঘাটগুলো চোখের সামনে বুজে গেল। সবাই নোংরা ফেলে পুকুরটার অনেকটা বুঝিয়ে দিয়েছে। পুরসভা একটা ভ্যাট পর্যন্ত করে না। বস্তির বাসিন্দারা নোংরা ফেলবেন কোথায়? প্রশ্ন বর্ষীয়ান নাগরিকের। একই আক্ষেপ বাপি সর্দারেরও। আক্ষেপের সুরে বলেন, এভাবেই ধীরে ধীরে পুকুর বুজে যাবে আর সেখানে অট্টালিকা তৈরি হবে। ২০১২-১৩ সালেও এখানে মাছ চাষ হয়েছে। তখন লিজের টাকা নিতে বা মাঝে মাঝে মালিকের দেখা পাওয়া যেত। এখন সেটাও পাওয়া যায় না।

তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বলেন,  ‘পুরসভা থেকে কয়েকবার আম্বেদকর ক্লাবের পেছন থেকে প্রচুর জঞ্জাল তুলে আনা হয়, কিন্তু আবার সচেতনতার অভাবে অনেক নাগরিক সেখানে ময়লা ফেলছেন। পুকুরের মালিককে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে নোটিফিকেশন করা হয়েছে। ‘