R G Kar Student Death: গলায়, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন, চাদরে রক্তের দাগ! আর জি কর কাণ্ডে ভয়াবহ তথ্য সামনে

কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুমে রহস্যমৃত্যু সেখানকারই ডাক্তারি পড়ুয়ার৷ বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই তপ্ত রাজনীতি থেকে চিকিৎসক মহল৷ মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে৷ একই অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধী বাম এবং বিজেপি নেতৃত্ব৷ যদিও মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনই কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি পুলিশ প্রশাসনকে৷ মৃত চিকিৎসকের দেহের স্বচ্ছ পদ্ধতিতে ময়নাতদন্তের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷

এরই মধ্যে সামনে এসেছে আরেক ভয়াবহ তথ্য৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর গলায় ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷ তরুণী চিকিৎসককে চিৎ অবস্থায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সেমিনার হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় সংজ্ঞাহীন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷

সেই সময় তাঁর শরীর নীল রঙের চাদরে ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, তরুণীর গায়ে যে চাদর ঢাকা দেওয়া ছিল তাতেও কিছু জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে৷

তরুণীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর একমাত্র মেয়ে মানুষের সেবা করতে এসে অত্যাচারিত হয়ে খুন হয়েছে৷ তাঁর মেয়ের মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল, চশমাও ভেঙে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি৷

আরও পড়ুন: মৃত ছাত্রীর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা মমতার! নিরাপত্তা কোথায়? আর জি কর-কাণ্ডে কর্ম বিরতির ডাক জুনিয়র ডাক্তারদে

সব মিলিয়েই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য৷ কী ভাবে ওই তরুণীর মৃত্যু ঘটল? কী ভাবেই বা তাঁর শরীরে এতগুলি ক্ষতচিহ্ন এল? মৃত্যুর আগে তাঁর উপরে কোনও অত্যাচার চলেছিল কি না, ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এ সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরে৷

আরও পড়ুন: চক্ষু ও দেহদান করেছিলেন সেই কবেই! সামনে এল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সেই অঙ্গীকার পত্র

আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে ছিল মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছোট উঁচু খাটের মতো জিনিসে (মাটি থেকে একটু উঁচু) ওই তরুণীর দেহ, গায়ে নীল চাদর।

মৃত তরুণীর বাবাকে ইতিমধ্যেই ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷