R G Kar Student Death: খুনের আগে বেধড়ক মারধর? আততায়ী কি ছিল পূর্ব পরিচিত? আর জি কর কাণ্ডে ভয়াবহ রিপোর্ট

কলকাতা: সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত৷ শরীরজুড়ে কমপক্ষে ১০টা আঘাতের চিহ্ন৷ দু’টো চোখ থেকেই রক্ত বেরিয়েছে৷ মুখ, ঠোঁট, পেট, ঘাড়, হাত-পা কোথায় করা হয়নি আঘাত! রক্তাক্ত গোপনাঙ্গও৷ পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট যা বলছে, তাতে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়৷ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের মতো শহরের একটি অন্যতম খ্যাতনামা হাসপাতালে কী ভাবে এমন নৃশংসভাবে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে সরব বিরোধীরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে হাসপাতাল চত্বরও৷

তরুণী চিকিৎসকের শরীরে এতগুলি আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আততায়ী কোনও রাগ এবং প্রতিহিংসা থেকেই এই খুন করে থাকতে পারে৷ এমনকি, আততায়ী মৃতার পূর্ব পরিচিত হয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছে পুলিশ৷

খুনের আগে বেধড়ক মারধর করার জেরেই কি এই ভীষণরকম আঘাত? নাকি অন্যকিছু, খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷

আরও পড়ুন: তরুণী চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে ক্ষত! আর জি কর কাণ্ডে পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে শিউরে ওঠার মতো তথ্য

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, ২২ বছরের ওই তরুণী চিকিৎসকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷ প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে পুলিশের দাবি,  তরুণীর দুই চোখ থেকেই রক্ত বেরিয়েছে। রক্তে বেরিয়েছে মুখ থেকেও। মৃতার গোপনাঙ্গেও ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।

তরুণীর চিকিৎসকের বাঁ পায়ে, পেটে, বাম পায়ের গোড়ালিতে, ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ ডান হাতের অনামিকা ও ঠোঁটেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। আঘাত করা হয়েছে মুখে৷ আঘাতের চিহ্ন মিলেছে নখের কাছেও।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ বৃহস্পতিবার রাত ৩টে থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ দেহের কলার বোনের কাছে ডান দিকে হাড়ের একটা অংশ ভাঙা৷ যদি কারও গলা হাত দিয়ে টেপা হয়ে থাকে সজোরে, এমন হাড় ভাঙতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা৷ তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই হাড় ভেঙে থাকতে পারে, তা নিয়ে চলছে তদন্ত৷

আরও পড়ুন: ভেঙে গিয়েছে কলার বোনের পাশের হাড়! গলা টিপে খুন? আর জি কর কাণ্ডে বাড়ছে ধোঁয়াশা

শুক্রবার সকালে তরুণীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চারতলার এক সেমিনার হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় সংজ্ঞাহীন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷ নিচু একটি খাটের মতো অংশে নীল চাদরের উপরে পড়েছিল তাঁর দেহ৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, সেই নীল চাদরের কিছু জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে৷

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সেই নীল চাদরে রয়েছে প্রচুর চুল ও রক্ত৷ তরুণীর মাথা দেহের মাথা ছিল পশ্চিম দিকে আর পূর্ব দিকে পা ছিল। দেহ ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় মিলেছে। পরনের পোশাক, অন্তর্বাস ছিল অবিন্যস্ত। দেহের পাশে পড়েছিল পরনের নীল জিন্স ও একটি ভাঙা চুলের ক্লিপ৷

এদিন ঘটনা সামনে আসার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল৷ সন্ধের দিকে তিনি বেরিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি৷