পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে আরও ভয়াবহ হচ্ছে৷ ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরে বৃষ্টির দাপটে কার্যত ভাসিয়ে দিচ্ছে উত্তরের জেলা ও রাজ্যগুলি৷ আর তাই নিয়েই তীব্র শঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷আবহাওয়া দফতরের কমলা সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ভুটান পাহাড় ও সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। আর যার জেরে হুহু করে জল বাড়তে শুরু করেছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে। এমনই ছবি ধরা পরল ধূপগুড়ি জলঢাকা নদীতে। ধুপগুড়ি ব্লকের গোদেয়ার কুটি এলাকায় জলঢাকা নদীতে প্রবল বর্ষণেৃর ফলে শুকনা নদীতে ও জল বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই আতঙ্ক বাড়ছে৷মণিপুরের বন্যা পরিস্থিতও অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে৷ মণিপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপতম পরিস্থিতি এটি৷ সেখানেও এই বিপুল বৃষ্টিপাতের প্রভাব তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে৷ এখনও পর্যন্ত দুর্যোগের প্রভাব কমেনি৷ প্রশাসনের তরফ থেকে খবর মিলেছে, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের৷উত্তরপূর্বের অন্য রাজ্যগুলির তরফ থেকে যে খবর মিলেছে, তাতে বলা হয়েছে মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চল দুর্যোগের ফলে কার্যত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হহয়েছে পড়েছে৷ এ ছাড়া সাইক্লোন রিমলের প্রভাবে সিকিমে তিস্তা নদী বইছে তীব্র গতিতে৷ সেটিও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে৷ অসমেও একাধিক নদী বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে৷ ত্রিপুরাতেও মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের৷অসমে বিভিন্ন সময়ে এই দুর্যোগের কারণে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে দু’জন স্কুল পড়ুয়া রয়েছে৷ এ চাড়া, গাছ পড়ে গুয়াহাটিকে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা-ছেলের৷ সে রাজ্যে মোট ২০ জন আহত হয়েছেন৷ অসমের বিভিন্ন অংশে একাধিক ধসের কারণে ও বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের৷