বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের চরম অবনতি ঘটেছে। এই কারণে, বিপুল সংখ্যক লোক কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ করেন অর্থাৎ পেট পরিষ্কার করতে না পারা। পেট পরিষ্কার না হওয়া একটি মারাত্মক সমস্যা, যা নিয়ে গাফিলতি করা উচিত নয়। কয়েক মাস ধরে আপনার পেট পরিষ্কার না থাকলে বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।সান্তান পাল আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ, শাহজাহানপুর, ইউপি-র পরামর্শক সার্জন এবং আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ মায়াঙ্ক রাজ গৌর নিউজ এইট্টিনকে বলেছেন যে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মানুষের পেট পরিষ্কার হয় না। অনেক সময় মানুষকে মলত্যাগ করতে অনেক জোর করতে হয় এবং তা সত্ত্বেও পেটে ময়লা থেকে যায়।সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা না হলে পাইলস, আলসার, ফিসার-সহ অনেক যন্ত্রণাদায়ক ও বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে মানুষ সব ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।চিকিৎসকদের মতে, আয়ুর্বেদে অনেক ঘরোয়া প্রতিকার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে ক্যাস্টর অয়েলকে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ইংরেজিতে একে ক্যাস্টর অয়েল বলে। এই তেলে রয়েছে ঔষধি গুণ, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।রাতে আধা গ্লাস দুধে ৩ ক্যাপ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে একটানা ৩ দিন পান করলে অলৌকিক উপকার পাওয়া যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং তিন দিনের মধ্যে উপকার হতে পারে। এই দেশি তেল আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটাতে পারে। আয়ুর্বেদে এই তেলটি অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহার করা হয়।আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষের প্রচুর জল পান করা এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি ক্যাস্টর অয়েলের ঘরোয়া প্রতিকারও চেষ্টা করতে হবে। এতে করে পেটে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয় এবং খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।যাই হোক, আপনি যদি বহু বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন এবং বিভিন্ন পদ্ধতি চেষ্টা করেও কোন উপশম না পান, তাহলে আপনার উচিত একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা করা। কোষ্ঠকাঠিন্যকে ছোটোখাটো রোগ না ভেবে গুরুত্ব সহকারে নিন। এটি করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
