কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত দু’মাস যাবৎ চলছে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ আন্দোলন। জুনিয়র ডাক্তারদের একাধিক সদস্যের টানা ১৪ দিন অনশনের মাথায় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়াতে শনিবার রাতে অনশনমঞ্চে পৌঁছন মুখ্য সচিব। সেখানেই ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের৷
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রবিবার জেনারেল বডির বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন। চিকিৎসকদের তরফে দেবাশিস হালদার জানান, “সহযোদ্ধারা অনশনক্লিষ্ট। সরকারের ব্যবহারে তারা কষ্ট পেয়েছেন। আজ ৭০-৭১ দিন পর ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকারের আচরণ ধোঁয়াশার। জানেন-জানেন না এরকম। আমাদের উপর দায় চাপানোকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”
জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আরও বলা হয়, “সরকারের নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ সোমবার বিকেল ৫টায় আমরা পৌঁছে যাব৷ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের মতো পরিস্থিতি হবে না এমনটা আশা নিয়েই যাব। পাশাপাশি সোমবার স্বাস্থ্য দফতরগুলিতেও ঘেরাও কর্মসূচি হবে। একইসঙ্গে আমাদের অনশন চলবে। অনশন না তুলেই আমরা আলোচনায় যাব। অনশনকারীরা চেয়েছেন তেমনই৷ আরও দুদিন না খেয়ে তাঁরা থাকবেন৷ শুধু নির্বাচন চাইছি না।”
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আরও বলেন, “আমাদের জেদের জন্য সরকার পদক্ষেপ করেছে এটা সঠিক নয়। পুলিশ কমিশনারকে সরানো, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সরানো আমাদের বালখিল্য জেদেের জন্য নয়। ন্যায়বিচার ও দ্বিতীয় ‘অভয়া’ কাণ্ড না ঘটা, এটাই আমাদের আন্দোলনের প্রধান বিষয়। অনশনকারীরা যেতে চাইছেন, কিন্তু তাঁদের শরীরকে নিয়ে কোনও রাজনীতি করছি এটা বলার সুযোগ দেব না আমরা। আর তাঁদের শরীরের অসুবিধা কিছু হলে দায় আমাদের হয়ে যাবে, সেটাও আমরা চাইছি না।”