সন্দীপের কীর্তি ফাঁস! পড়ুয়াদের পাশ করানো থেকে হাসপাতালের জিনিসপত্র কেনা, লক্ষ লক্ষ টাকার কমিশন নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ

R G Kar Murder: সন্দীপের কীর্তি ফাঁস! পড়ুয়াদের পাশ করানো থেকে হাসপাতালের জিনিসপত্র কেনা, লক্ষ লক্ষ টাকার কমিশন নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ

কলকাতা: আরজি করের পদত‍্যাগী অধ‍্যক্ষ‍ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে উঠছে একের পর বিস্ফোরক অভিযোগ। পড়ুয়াদের পাশ-ফেল করানো থেকে হাসপাতালের জন‍্য কেনা বিভিন্ন জিনিসে বিপুল অঙ্কের টাকার কমিশন নেওয়া, একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে অধ‍্যক্ষে বিরুদ্ধে।

অধ‍্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধুমাত্র আরজি কর নয়, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ পড়ুয়াদের সাপ্লিতে পাস করানো, ফেল করাদের পাশ করানো এসবের বিনিময়ে দশ লক্ষ টাকা করে নিতেন তিনি। নিজের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন সাবজেক্ট অনার্স পাইয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তে ‘অনাস্থা’, বিস্ফোরক দাবি নিহত চিকিত্‍সকের বাবা-মা, আইনজীবীর

তার পেটোয়া ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছাপূরণে বেশ কয়েকটি ক্যান্টিন থাকা সত্ত্বেও একটি সুসজ্জিত ক্যাফেটেরিয়া তৈরি করা হয়, সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ। সন্দীপের দাপট এবং স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন জায়গাতে এতটাই ক্ষমতা, কারোর পক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করারও জো ছিলোনা।

আর জি করের যেকোনও কিছু করতে গেলে টেন্ডার পিছু কুড়ি শতাংশ কমিশন দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। আরজি করের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, হাসপাতালে অ‍্যাম্বুলেন্স, পার্কিং, হলুদ ট্যাক্সি, প্রত্যেকটি ক্যান্টিন, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী সংস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র কেনা সবেতেই কমিশন পেতেন প্রিন্সিপাল প্রতিমাসে প্রায় এগারো লক্ষ টাকা কমিশন ঢুকতো।

করোনার সময় হাই ফ্লো নেজাল অক্সিজেন মেশিন একেকটি প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বেশি দিয়ে কেনার অভিযোগ যেখানে অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বেসরকারি হাসপাতাল গুলি এক লক্ষ ৩০ হাজার থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় মেশিনটি কিনেছে, সেখানে আরজিকর ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় এই মেশিন কেনে।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আন্ডার গ্রাজুয়েটে স্কিল ল্যাবের টেন্ডারের দুর্নীতির অভিযোগ। তিন কোটি টাকায় এই টেন্ডার পায় মা তারা ট্রেডার্সযেখানে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ-সহ বিভিন্ন জায়গাতে এই ল্যাব তৈরি করতে ৬২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। গত বছরই চার মৃতদেহের ময়না তদন্তর রিপোর্ট চাপ দিয়ে অন্যরকম করার অভিযোগ উঠেছিল প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে, তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান এই বিষয়ে অভিযোগও করেন।