কলকাতা: বাঁশদ্রোণী কাণ্ডে বিজেপি কর্মীদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানার সামনে বুধবার রাতভর ধরনা কর্মসূচিতে অবস্থান করছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার। বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারটে এফআইআর করেছে পুলিশ।
একটা দুর্ঘটনা ও স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বাঁশদ্রোণী। যদিও এখনও ঘাতক গাড়ির চালকের খোঁজ চলছে। অন্যদিকে পরবর্তী পরিস্থিতিতে পেডোলার ভাঙচুর, বিক্ষোভ, পুলিশকে আটকে রাখা, পুলিশকে হেনস্থা করা, উত্তেজনা ছড়ানো, উস্কানি দেওয়া, প্ররোচনামূলক কাজ, দুষ্কৃতী তাণ্ডব, মারামারি এগুলোর জন্য আরও তিনটি এফআইআর করেছে পুলিশ। বুধবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় পাঁচ জন গ্রেফতার ছিল। যার মধ্যে ছিলেন বিজেপি কর্মী রুবি মণ্ডলও।
প্রসঙ্গত, এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার চূড়ান্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা দক্ষিণ শহরতলির বাঁশদ্রোণীতে। নবম শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে গতকাল ব্যাপক গণ্ডগোল চলে বাঁশদ্রোণীতে। তারই জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। বাঁশদ্রোণীতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
দলীয় কর্মীদের অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে গতকাল সন্ধে থেকেই বাঁশদ্রোণী থানার সামনে ধরনা অবস্থানে বসেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। থানার সামনে রাতভর ধরনায় ছিলেন রূপা। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে শেষমেষ গ্রেফতার করা হয় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে।