কলকাতা Chicken-Bird Flu: রাজ্যে ফের বার্ড ফ্লু আতঙ্ক! চিকেন-ডিম খেলে বাড়বে বিপদ? কী বলছে স্বাস্থ্যভবন, জানুন Gallery June 15, 2024 Bangla Digital Desk *পর পর দুই শিশুর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হওয়ার খবরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্যের মধ্যবিত্তরা। কপালে ভাঁজ পড়েছে চিকেন ও মুরগি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মধ্যেও। অনেকে আবার ঝোপ বুজে কোপ মারার মতো ভাবছেন এ বার দামটা যদি একটু কমে। তড়িৎ গতিতে এই খবর ছড়াতে শুরু করেছিল। তারই মধ্যে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যভবন প্রকাশ করে দিল নিজেদের রিপোর্ট থেকে সংগ্রহ করা তথ্য। সংগৃহীত ছবি। *মাছে ভাতে বাঙালির খাবারের মেনুতে বেশ ভাল ভাবে জায়গা করে নিয়েছে চিকেন, আর ডিম। তবে মাছের বিকল্প হিসেবে জায়গা করে নেওয়া এই খাদ্যে একাধিকবার বাধা এসেছে বার্ড ফ্লুর কারণে। আবার সেই একই আতঙ্ক শুরু হয়েছে রাজ্যের দু’জনের আক্রান্ত হওয়ার খবরে। পরপর দুই শিশুর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। সংগৃহীত ছবি। *কলকাতায় এসে আক্রান্ত হয়েছিল এক আড়াই বছরের শিশু। আর এক চার বছরের শিশু আক্রান্ত হয় মালদহের কালিয়াচকে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতে উদ্বেগ বেড়েছে অনেকের মধ্যে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, পোলট্রির ডিম বা মাংসে লুকিয়ে নেই তো বিপদ? বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সংগৃহীত ছবি। *স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, মালদহে এক শিশুর ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছিল। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের পর নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে সেই শিশুর চিকিৎসা হয়। সংগৃহীত ছবি। *গত মার্চ-এপ্রিলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল নমুনা। পরীক্ষায় H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেন পাওয়া যায় শিশুর দেহে। প্রথম নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, পরের বার পরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শিশু এখন সুস্থ আছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সংগৃহীত ছবি। *আর এক শিশু কলকাতা থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে যখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফিরে যায়, তখন তার দেহে H5N1 স্ট্রেনের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস পাওয়া যায়। দুই শিশুর সংস্পর্শে আসা কোনও ব্যক্তিদের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানান স্বাস্থ্যসচিব। ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস সংক্রান্ত যে সমীক্ষা হয় তাতেও কেসের সংখ্যা বেড়েছে এমন কিছু পাওয়া যায়নি। সংগৃহীত ছবি। *স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, পোলট্রি বার্ডের মধ্যে কিছু ধরা পড়েনি। খুব কড়া নজরদারি চালিয়েও কোনও হাঁস-মুরগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাঁস-মুরগির মাংস, ডিম খাওয়া নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সতর্কবার্তাও নেই। সংগৃহীত ছবি। *প্রাণীসম্পদ দফতরের সচিব বিবেক কুমার জানিয়েছেন, এপ্রিল-মে মাসে ১৭২৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যের কোথাও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সোর্স পাওয়া যায়নি। মালদহ থেকে ৩৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতেও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে তাই ডিম, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সংগৃহীত ছবি।