সম্প্রতি ‘ফ্যাবিউলাস লাইভস ভার্সেস বলিউড ওয়াইভস’-এ দেখা গিয়েছে মাহিপ কাপুরকে। তবে তাঁর অ্যাকসেন্ট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং। এদিকে এই ট্রোলিং নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর সহ-অভিনেত্রী শালিনী পাসি।
একদম গোড়ার দিক থেকেই নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘ফ্যাবিউলাস লাইভস ভার্সেস বলিউড ওয়াইভস’-এর অংশ হয়েছেন মাহিপ কাপুর। তবে এই সিরিজের তৃতীয় সিজন থেকে যোগ দিয়েছেন দিল্লির শালিনী। আর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছেন। যদিও প্রত্যেক সিজনেই বলিউড ওয়াইফদের প্রায় প্রত্যেকেই ট্রোলের মুখে পড়েছেন।
তবে এবার মাহিপের অ্যাকসেন্ট বা কথা বলার ধরন নেটিজেনদের নিশানায়। আসলে শালিনীর শেয়ার করা একটি ভিডিও-র কমেন্ট সেকশনে নজর গিয়েছে এক রেডিট ব্যবহারকারীর। শালিনীর ওই ভিডিও-য় আবার দেখা গিয়েছে মাহিপকেও। এক সপ্তাহ আগে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিও-তে এক সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মাহিপ আসলে সদ্য কানাডা থেকে আসা দিদির সস্তার কপি। যিনি নতুন শেখা অ্যাকসেন্ট জাহির করতে চান।” ওই নেটিজেনের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন আর এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী।
এরপর এই কমেন্টের জবাবে হার্ট ইমোজি দেন শালিনী। যদিও বিষয়টা স্পষ্ট নয় যে, তিনি আদতে কী বোঝাতে চেয়েছেন এহেন ইমোজির মাধ্যমে। তবে কিছু নেটিজেন মনে করছেন, নেতিবাচক মন্তব্যকেই ইতিবাচক করার চেষ্টা করছেন শালিনী। রেডিট-এ একজন লিখিছেন, “শালিনী আসলে নেতিবাচক শক্তিকে ইতিবাচক শক্তিতে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন।” আবার অন্য এক নেটিজেন শালিনীকে আড়াল করার চেষ্টা করে বলেন যে, “শালিনী এমনিতে খুবই সক্রিয়। তিনি সব কিছু লাইক করেন এবং ভক্তদের মন্তব্যের জবাবও দেন। ফলে এক্ষেত্রে তাড়াহুড়োয় কোনও গোলমাল হয়ে যেতে পারে।”
তবে তৃতীয় এক নেটিজেনের দাবি, “মনে হয়, শালিনী নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল করেন না। যখন আপনি কোনও পিআর টিম ভাড়া করেন, তখন তাঁরা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্সেস পেয়ে যান। মনে হয় শালিনী নিজের প্রাইভেট প্রোফাইল বেশি ব্যবহার করেন। ফলে এটা পিআর গিমিকও হতে পারে, যাতে শালিনী আর মাহিপকে নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়। আসলে সাজানো ঝামেলাও কিন্তু পিআর-দের পুরনো কৌশল।”
প্রসঙ্গত শিল্প সংগ্রহ করাই শালিনীর কাজ। এমনকী সারা বিশ্বে বিভিন্ন শিল্প উৎসবে শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ফলে ডিজাইন এবং ফ্যাশনের বিষয়েও তাঁর জ্ঞান অগাধ। অন্যদিকে আবার তাঁর স্বামী সঞ্জয় হলেন পাস্কো গ্রুপের চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত এই সংস্থাই উত্তর ভারতে টাটা মোটর্সের মূল ডিস্ট্রিবিউটর। ২০০০ সালের দিকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সঞ্জয়-শালিনী। এই দম্পতির পুত্রসন্তানের নাম রবিন।