জ্যোতিষকাহন Shree Ganesh: স্যালারি বাড়াতে চান? দূর করতে চান অর্থ সঙ্কট..শ্রী গণেশকে অবশ্যই অর্পণ করুন এই ৫ গাছের পাতা Gallery May 15, 2024 Bangla Digital Desk হিন্দু ধর্মে, প্রতিটি শুভ কাজে প্রথমে ভগবান শ্রী গণেশের পূজা করা হয়ে থাকে। ভগবান শ্রী গণেশ দূর্বা ঘাস খুব পছন্দ করেন। গণপতি পূজোর সময় সেই কারণে অবশ্যই দূর্বা ঘাস দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের কোনও কাজে আসা যে কোনও বাধা দূর করতে দূর্বা ঘাস অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়৷ তবে দূর্বা ঘাস ছাড়াও এমন আরও ৫টি গাছ এবং গাছপালা রয়েছে যার পাতা ভগবান গণেশকে নিবেদন করলে তিনি সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তের যাবতীয় মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। উজ্জয়ীনির জ্যোতিষী রবি শুক্লার কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক, কোন ৫টি গাছ এবং গাছের পাতা ভগবান গণেশকে নিবেদন করলে তুষ্ট হন তিনি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশ অর্জুন গাছের পাতা খুব পছন্দ করেন। যাঁরা বেকার, চাকরিতে পদোন্নতি চান বা বেতন বাড়াতে চান, তাঁরা অর্জুন গাছের ৫ বা ৭টি পাতা শুদ্ধ শরীরে, শুদ্ধ বস্ত্রে ভগবান গণেশকে অর্পণ করুন। বুধবার এই গাছের পাতা নিবেদন করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে কেতকী ফুলের পাতাও শ্রী গণেশকে নিবেদন করলে ভগবান প্রসন্ন হন বলে মনে করা হয়। এই গাছের পাতাগুলি বিশেষ করে সেই সমস্ত লোকদের দেওয়া উচিত, যাঁরা কোনও নতুন কাজ শুরু করতে চান। বিশ্বাস করা হয় যে, এই গাছের পাতা নিবেদন করার সময় ভগবান গণেশের ১২টি নামের জপ করলে সমস্যার দ্রুত উপশম হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশকে শিম পাতা নিবেদন করলে, শীঘ্রই পূর্ণ হয় মনস্কামনা। এই পাতা অর্ঘ্য দেওয়ার আগে, পাতাগুলি কাটা বা ছেঁড়া আছে কি না দেখে নিন। কোনও কাজে বারবার বাধার সম্মুখীন হলে এই প্রতিকার অবশ্যই করুন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মাদার গাছের পাতা নিবেদন করলে ভগবান গণেশ খুব খুশি হন। ভগবান শিবের কাছেও এই পাতা খুবই প্রিয়। আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য মাদার গাছের পাতার প্রতিকার করতে পারেন। এর জন্য তাঁদের কমপক্ষে ১১টি পাতা প্রয়োজন হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বুধবার ভগবান গণেশের প্রিয় দিন। এই দিনে সাদা বা হলুদ করবীর ফুলের পাতা নিবেদন করলে ভগবান গণেশ প্রসন্ন হন। সাধারণ বিশ্বাস, করবী পাতা নিবেদন করলে সব ধরনের সঙ্কট দূর হয় এবং মানুষ সমস্যা থেকে মুক্তি পায়। দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।