দেশ, লাইফস্টাইল Snake Free Country: জানেন কি এমন একটি দেশ আছে যেখানে কোনও সাপ নেই! নাম শুনলে অবাক হবেন April 26, 2024 Bangla Digital Desk সাপ- ওই শব্দটা শুনলেই গোটা শরীরে যেন কেমন একটা কাঁপুনি ধরে যায়। ভারতীয় পুরাণগুলো থেকে শুরু করে আজকের সময় পর্যন্ত অন্যতম রহস্যময় ও বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে ব্যাখ্যা করে আসা হয়েছে সাপকে। তার একটা প্রভাব সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে আছে। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে একটি মনে করা হয় সাপকে। বৃষ্টি ও ভেজা জায়গায় সাপ বেশি দেখা যায়। আজকাল সাপের ছোবলে এই বাংলায় মৃত্যুর ঘটনা হঠাৎই বেড়ে গিয়েছে। আমাদের এখানে সাপ-বিহীন একটিও জায়গা নেই। কিন্তু জানেন কি এই বিশ্বে এমন একটি দেশ আছে যেখানে কোনও সাপ নেই! পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই সাপ পাওয়া যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিউজিল্যান্ড সাপমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই দেশটি সাপমুক্ত। নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ মেরুর খুব কাছে অবস্থিত। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপের অভাব নেই। মজার বিষয় হল এই দেশের স্থলভাগকে ঘিরে থাকা সাগরে সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে মূল ভূখণ্ডে কোনও সাপের প্রজাতি পাওয়া যায় না। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ড একটি সম্পূর্ণ দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ায় তার সবচেয়ে নিকটবর্তী দেশ অস্ট্রেলিয়ার ভূখণ্ড থেকে সাপ সেখানে এসে পৌঁছতে পারেনি। উল্লেখ্য অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে বেশ কিছু ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এখন একটা প্রশ্ন উঠতে পারে, যদি কেউ বাইরে থেকে নিউজিল্যান্ডে সাপ নিয়ে আসে বা পাচার করে? তবে এই সম্ভাবনা বিশেষ একটা নেই। কারণ নিউজিল্যান্ডের আইন দেশটির নাগরিকদের সাপকে পোষা প্রাণী হিসাবে রাখতে বা বিদেশ থেকে আমদানি করার অনুমতি দেয় না। আর নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দারা অত্যন্ত আইন মেনে চলা নাগরিক হন। নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণীদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে এদেশের সরকার। সাপ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী খায়, তাই নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ সাপকে রক্ষা করতে দেয় না। নিউজিল্যান্ডের চিড়িয়াখানায় একটিও সাপ পাওয়া যায় না। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেশ নিউজিল্যান্ড, যা প্রায় ৮৫ মিলিয়ন বছর আগে অতি-মহাদেশ গন্ডোয়ানাল্যান্ড থেকে পৃথক হয়ে গড়ে উঠেছিল বলে গবেষকরা জানান। দেশটিতে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদ এবং প্রাণী রয়েছে যা মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ আলাদা।