ভাদ্র মাসে অমাবস্যা পড়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। এই দিন হর কি পৌড়িতে গঙ্গাস্নান করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস এমনই। তাছাড়া হিন্দু শাস্ত্রে অমাবস্যাকে ফলদায়ক বলা হয়েছে। প্রতীকী ছবি ৷শাস্ত্র অনুযায়ী, অমাবস্যায় তীর্থস্থানে গঙ্গাস্নান করলে বহুবিধ উপকার পাওয়া যায়। পুরাণ মতে, পাহাড় পেরিয়ে গঙ্গা প্রথমে হরিদ্বারের সমতল এলাকায় এসে পৌঁছেছিল। প্রতীকী ছবি ৷ হরিদ্বার আবার ভগবান বিষ্ণুর কৃপাধন্য শহর। তাই এখানে গঙ্গাস্নানের গুরুত্বও অনেক। প্রতীকী ছবি ৷ অমাবস্যায় কী কী প্রতিকার করা উচিত: বিশ্বাস করা হয়, হরিদ্বারের হর কি পৌড়িতে স্বয়ং ব্রক্ষ্মা তপস্যা করেছিলেন। প্রতীকী ছবি ৷যে কোনও উৎসবের সময় দেবদেবীরা এখানে স্নান করেন। যার কারণে গঙ্গার জল অমৃতসমান হয়ে ওঠে। সেই জন্যই এখানে গঙ্গাস্নান করলে লক্ষ গুণ অধিক ফল লাভ হয়। প্রতীকী ছবি ৷ ধর্মীয় মান্যতা অনুযায়ী, অমাবস্যার দিন হরিদ্বারের হর কি পৌড়িতে গঙ্গাস্নান করলে সকল রোগের নিরাময় হয়। প্রতীকী ছবি ৷একই সঙ্গে সেই ব্যক্তি মোক্ষলাভ করেন। অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধ, তর্পণ, পিণ্ডদান ইত্যাদি ধর্মীয় কাজেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। প্রতীকী ছবি ৷জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী লোকাল 18-কে বলেছেন, ২ সেপ্টেম্বর সোমবতী অমাবস্যা। এই বিশেষ দিনে তীর্থনগরী হরিদ্বারে গঙ্গাস্নান করলে পূর্বজন্মের সমস্ত পাপ মোচন হয়। প্রতীকী ছবি ৷ ব্যক্তি অমাবস্যার পূর্ণ সুফল লাভ করেন। আবার ৩ সেপ্টেম্বর সোমবতী অমাবস্যর পরের দিনটিও গঙ্গাস্নানের জন্য অত্যন্ত শুভ। প্রতীকী ছবি ৷ ২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪.৩৮ -এ শুরু হবে ব্রাক্ষ্ম মুহূর্ত। চলবে ৫.২৪ পর্যন্ত। পুজোর সময় সকাল ৬.০৯ থেকে ৭.৪৪ মিনিট পর্যন্ত। প্রতীকী ছবি ৷ ভগবান শিব এবং ভগবান বিষ্ণুর শহর হরিদ্বার। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, ধর্মীয় উৎসবে স্বর্গ থেকে দেবদেবীরা হরিদ্বারের হর কি পৌড়ির ব্রক্ষ্মাকুণ্ডে স্নান করতে আসেন। প্রতীকী ছবি ৷ তাই অমাবস্যায় হরিদ্বারের গঙ্গার জল অমৃত হয়ে ওঠে। এই সময় হরিদ্বারের হর কি পৌড়িতে গঙ্গাস্নান করলে শরীরের সমস্ত রোগ নিরাময় হয়। অন্য দিকে, মা গঙ্গার ধ্যান ও পুজোর মাধ্যমে মোক্ষলাভ করেন ভক্ত। প্রতীকী ছবি ৷ জ্যোতিষী পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রীর কথায়, ‘গঙ্গাস্নানের সময় মনে মনে গঙ্গার মন্ত্রগুলি জপ করা উচিত। এতে অনেক ধরণের সুফল পাওয়া যায়।’’ প্রতীকী ছবি ৷
