বিরাট, ধোনি, সচিনের পরেই সৌরভ। তবে ক্রিকেটের রান কিংবা পারফরমেন্সের বিচার এখানে হচ্ছে না। এই হিসেব ট্যাক্সের। দেশের নাগরিক হিসেবে করদাতাদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন বাংলার মহারাজ। করদাতা হিসেবে ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম দশ জনের মধ্যেই রয়েছেন সৌরভএগুলো ছাড়াও ধারাভাষ্য, টেলিভিশন শো, এডুকেশন অ্যাপেরও এনডোর্সমেন্ট থেকে আয় রয়েছে সৌরভের। সেই কারণেই বার্ষিক সমস্ত আয়ের হিসেব অনুযায়ী ২৮ কোটি টাকা ট্যাক্স সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছেন সৌরভ। বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হলেও, সামগ্রিক জনপ্রিয়তার নিরিখে সৌরভের চাহিদা বাড়ছেই।২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে সৌরভ কর দিয়েছেন ২৮ কোটি টাকা। বিরাট ৬৬ কোটি, তারপরেই ধোনি ৩৮ কোটি টাকার কাছাকাছি কর দিয়েছেন। তারপরে রয়েছেন সচিন। তারপরেই সৌরভ। সূত্রের খবর, বর্তমান নিয়ে খেলা হার্দিক, সূর্যদের থেকেও বেশি পরিমাণে ট্যাক্স দেন সৌরভ। আসলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মানেই বাঙালির প্রিয় দাদা। রাজ্য থেকে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও বাঙালির গর্বের নাম মহারাজ।ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও তাঁর জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বাণিজ্যিক দিক থেকেও সফল সৌরভ। খেলার জীবনের পর থেকেও একাধিক বিজ্ঞাপনের মুখ সৌরভ। রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থেকে ত্রিপুরা পর্যটনের মুখ মহারাজ। জনপ্রিয় টিভি সঞ্চালক।ক্রিকেট মাঠে যেভাবে কোটি কোটি ভারতীয় হৃদয় জিতেছেন সেভাবেই টেলিভিশনের সামনে সঞ্চালকের ভূমিকাতেও গর্বের নাম মহারাজ। খেলা ছাড়ার দেড় যুগ পরেও সৌরভের হাতে বর্তমানে মোট ব্র্যান্ডিং সংখ্যা ৪০। আরো কয়েকটি বিজ্ঞাপনের মুখ হতে চলেছেন দাদা বলে খবর। ক্রিকেট ছাড়ার এত বছর পরেও সৌরভের আয় বছরে কম করে প্রায় ৮০-৯০ কোটি টাকার কাছাকাছি।সব মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। বাংলা থেকে সর্বাধিক করদাতার মধ্যে সৌরভ-অরিজিৎ সিংরা রয়েছেন। ফলে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সৌরভের জনপ্রিয়তায় এতটুকু খামতি নেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু এক বিন্দুও কমেনি। ফলে এনডোর্সমেন্ট, বিজ্ঞাপন থেকেও প্রচুর আয় করেছেন।
