লাইফস্টাইল Sugar Control Tips: সুগার লেভেল ২০০…? ঝড়ের গতিতে কমবে! ৫ ‘ফুল’ ধন্বন্তরি! চিবোলেই মুঠোয় ডায়াবেটিস ঠেকে ওজন Gallery October 14, 2024 Bangla Digital Desk ঘরে ঘরে আজ ডায়াবেটিস। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে প্রতিদিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় কাজ হয়ে দাঁড়ায়। পুজোর মরশুমে অনিয়মিত খাওয়া দেওয়ার জেরে সেই সুগার লেভেল গিয়ে ঠেকে আকাশে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের উপায় কী? চিকিৎসকেরা বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের আশেপাশেই আছে এমন কিছু প্রাকৃতিক জিনিস, যা আপনার শরীরে সুগারের মাত্রা সবসময় স্বাভাবিক রাখবে। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা কিছু ফুল দিয়ে এই জাদুকরী নিরাময় করা যায়। আসুন জেনে নিই সেই ৫টি ফুলের সম্পর্কে যা সুগারের যম। নিয়মিত সেবনে আপনার সুগার লেভেল থাকবে কন্ট্রোলে। কখনোই সুগারকে উচ্চ মাত্রায় পৌঁছতে দেবে না এই প্রাকৃতিক ‘ধন্বন্তরি’। ডালিয়া ফুল:অক্সফোর্ড অ্যাকাডেমিক লাইফ মেটাবলিজম-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ডালিয়া ফুলের পাপড়িতে তিনটি অণু থাকে যা প্রিডায়াবেটিস এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। মাদাগাস্কার পেরিউইঙ্কল (নয়নতারা ফুল) :নয়নতারা ফুল, যা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে মাদাগাস্কার পেরিউইঙ্কল নামে পরিচিত, ঐতিহ্যগতভাবে ডায়াবেটিস, গলার সংক্রমণ, রক্তচাপ, ক্যানসার এবং ত্বকের রোগ-সহ অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে এই ফুল। এই গাছ থেকে প্রাপ্ত রস ইনজেকশনের মাধ্যমে ক্যানসারের চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যায়। কলা ফুল (মোচা)২০১৩ সালে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে কলা ফুলের ব্যবহার শরীরে বর্ধিত সুগারের সঙ্গে যুক্ত একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনের উৎপাদন কমিয়ে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। সুগার নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও, কলার ফুল ওজন কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রকে উৎসাহিত করে। জবা বা হিবিস্কাস ফুল:শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে হিবিস্কাস ফুল বা জবা ফুল দিয়ে তৈরি হিবিস্কাস চা খুবই উপকারী। কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে হিবিস্কাস ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি করতে পারে, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সেরা চা। অপরাজিতা ফুল/প্রজাপতি মটর ফুল:অপরাজিতা ফুল (প্রজাপতি মটর ফুল) Clitoria Ternatea নামেও পরিচিত। এই আকর্ষণীয় নীল ফুলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই ফুলটি তার হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্যের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, এটি ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী করে তোলে। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।