সুনীলের গোলে মুম্বই বধ বেঙ্গালুরুর, সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে থাকল বিএফসি

মুম্বই: আগেই জেতা হয়ে গিয়েছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড ট্রফি। প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে ঘরের মাঠে আজ মুম্বই জয় ছাড়া অন্য কোনও টার্গেট নিয়ে নামবে না সেটা আগেই পরিষ্কার ছিল। এবারের আইএসএলে তারাই সবচেয়ে নিখুঁত ফুটবল খেলা দল তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকতে পারে না। অনেক রেকর্ড এবার তৈরি করেছে মুম্বই। সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অপরাজিত (১৮ ম্যাচ) থাকার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক টানা ম্যাচ জয় (১১ ম্যাচ) প্রমাণ করে এবার মুম্বইয়ের দাপট কতখানি ছিল।

আজ ১৬ দিন পর খেলতে নেমেছিল মুম্বই। ফলে তারা যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরু এবারের টুর্নামেন্টে একমাত্র দল ছিল যারা লিগে মুম্বইকে হারিয়েছিল। রয় কৃষ্ণ, সুনীল ছেত্রী, জাভি হার্নান্দেজ ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারেন সেটা জানাই ছিল। তবুও কোয়ালিটি এবং ফর্মের বিচারে কিছুটা হলেও এগিয়েছিল মুম্বই।

ডেস বাকিংহ্যাম কোচ হিসেবে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছেন লিগে। তবে উল্টোদিকে ইংরেজ কোচ সাইমন গ্রেসন কিন্তু বেঙ্গালুরু দলটাকে একটা লড়াই করার মানসিকতায় নিয়ে এসেছিলেন। তাই আজ লড়াই সমানে সমানে হবে মনে হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমার্ধে প্রচুর দাপট ছিল মুম্বইয়ের। একাধিক কর্নার, সেটপিস পেলেও গোল করতে পারেনি মুম্বই।

বেঙ্গালুরু ডিফেন্স শক্ত রেখে এবং মাঝখানের লোক বাড়িয়ে কোনোক্রমে নিজেদের গোল আটকে রাখছিল। সেকেন্ড হাফে এলেন সুনীল ছেত্রী। তারপরেই ম্যাচের দখল নিতে শুরু করে বেঙ্গালুরু। সুরেশ, রেমিরেজ, রশনরা লড়াই করলেন প্রতিটা বলের জন্য। ৭৮ মিনিটে গোল পেয়ে গেলেন সুনীল ছেত্রী। কর্নার থেকে আসা বল হেডে জালে পাঠিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন বয়স হলেও জাত মরে যায় না।

কেরলের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে সুনীলের গোল নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। আজ ভারতীয় ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি আবার বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোদের আন্তর্জাতিক তালিকায় পাশাপাশি থাকেন। মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে এসে হারিয়ে দিয়ে গেল ব্যাঙ্গালুরু। ফিরতি লেগে বেঙ্গালুর মাঠে মুম্বইয়ের চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন হতে চলেছে।