সানি লিওনি। বলিউডে এক দশক পার করে ফেলার পর তিনি আর কেবল একজন প্রাক্তন পর্নতারকা নন। তিনি একজন অভিনেত্রী বটে। সম্প্রতি ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সানি অভিনীত ছবি ‘কেনেডি’ সাড়া ফেলেছে৷অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত এই ছবিই সানির ফিল্মি কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন৷ সেই সানির জীবনের কঠিন বাস্তব শুনে অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন।২০১৬ সালে কানাডীয় তথ্যচিত্র ‘মোস্টলি সানি’-তে নিজের অতীতের ঝাঁপি খুলে বসেছিলেন সানি। আর সেখান থেকেই ভয়াবহ এক সত্যের মুখোমুখি হতে হয় দর্শকদের।আমেরিকান পর্ন ছবির দুনিয়ায় কাজ করে কেবল যে তাঁর রোজগার হয়েছে, তা-ই নয়, তাঁর ভাইও নিজের হাতখরচা পেতেন দিদির পেশা থেকে। কিন্তু তার জন্য কুৎসিত কাজ করতে হয়েছে ভাই-বোনকে।করণজিৎ কৌর ওরফে সানি লিওনির ভাই সন্দীপ বোহরা নিজমুখেই অতীতের কথা বলেছিলেন তথ্যচিত্রে। তিনি জানান, টাকা রোজগারের জন্য দিদির নগ্ন ছবি পোস্টার হিসেবে ছাপিয়ে কলেজে বিক্রি করতেন তিনি।যদিও সানি নিজেই অনুমতি দিয়েছিলেন ভাইকে। তাই সেই সব পোস্টারে থাকত সানির সইও। সন্দীপ বলেছিলেন, তিনি তাঁর ঘরে সানির স্বাক্ষরিত নগ্ন পোস্টার লাগিয়ে রাখতেন যাতে কলেজের বন্ধুরা দেখতে পারে এবং তারপরে তার কাছ থেকে কিনতে পারে।ছবিতে তিনি বলেছেন, “তাই আমি ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে শুরু করি। আমার বন্ধুরা পাগলের মতো কিনত। ইচ্ছাকৃতভাবে ঘরের দেওয়ালে ফ্রেম করে রাখতাম। ওরা চাইলে বলতাম, ২০ ডলার দিতে। পরের দিন, আরেকটি ফ্রেম এবং দেওয়ালে আরেকটি ছবি।’’তারপর সানি বলেন, ‘‘ও যখন কলেজে পড়ত, প্রথম কয়েক বছরের জন্য খানিক হাতখরচার প্রয়োজন ছিল। আমায় বলেছিল, আমার নগ্ন ছবিতে স্বাক্ষর করে দিতে যাতে বন্ধুদের কাছে বিক্রি করতে পারে।’’‘‘আমি বলেছিলাম ঠিক আছে, কিন্তু স্বাক্ষর করা ছবির জন্য ১০ বা ১৫ ডলারের থেকে এক টাকাও কম নেবে না।’’পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই নিজের নাম বদলে সানি রাখেন করণজিৎ৷ আসলে সানির ভাইয়ের নাম সন্দীপ, পরিবারের সকলের কাছেই সানি নামে পরিচিত সে৷ সেই নাম ধার করে সারা বিশ্বে পরিচিতি পান নীল ছবির রানি সানি লিওনি।