মহালক্ষ্মীর দেহের টুকরোই উদ্ধার হয় ফ্রিজ থেকে।

Bengaluru murder update: ফ্রিজ থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়! প্রধান সন্দেহভাজনের রহস্যমৃত্যু

ভদ্রক: বেঙ্গালুরুতে ফ্রিজ থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়। মহালক্ষ্মীর টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সন্দেহ করছিল ওড়িশার তরুণী মুক্তি রঞ্জন রায়কে।

কিন্তু তদন্তের মাঝপথে নয়া মোড় নিল মহালক্ষ্মীর খুনের রহস্য়। বুধবার প্রধান সন্দেহভাজন মুক্তি রঞ্জন রায়ের দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর পরেই খুনের ঘটনা নিয়ে নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে।

আরও পড়ুন: দিনে দিনে সস্তা হচ্ছে বাংলাদেশের টাকা, জানেন ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের কত?

‍বুধবার ভদ্রক জেলার ধুসুরি থানার এক গ্রামে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে পর্যন্ত পুলিশের কাছে তথ্য ছিল সন্দেহভাজন মুক্তি মঙ্গলবার শেষ গ্রামে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরেও যান। হঠাৎ আজ, অর্থাৎ বুধবার উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। মুক্তির পরিবার মৃতদেহটি শনাক্ত করেছে। তাঁর দেহটি ময়নাতজদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হল, আত্মহত্যা না কি খুন জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বন্যার জল নামেনি, তার আগেই ভয়াল ঘূর্ণাবর্ত! বৃষ্টিতে ভাসবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ, কবে পর্যন্ত দুর্যোগ?

গত শনিবার বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ভিতরে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়  ২৯ বছর বয়সি এক যুবতীর টুকরো টুকরো করা দেহাংশ৷ নিহত ওই মহিলার নাম মহালক্ষ্মী দাস৷ ফ্রিজের ভিতর থেকে মহালক্ষ্মীর দেহের ৫৯টি টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ৷ দু দিন ধরে পচা গন্ধ পাওয়ার পর প্রতিবেশীরা বিষয়টি ফ্ল্যাটের মালিককে জানান৷ শনিবার মহালক্ষ্মীর মা এবং বোনকে নিয়ে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢোকেন ফ্ল্যাট মালিক৷ তখনই ফ্রিজের ভিতর থেকে ওই যুবতীর দেহাংশ উদ্ধার হয়৷ বেঙ্গালুরুর পরিবার আদতে নেপালের বাসিন্দা হলেও প্রায় ৩৫ বছর আগে তারা কর্ণাটকে চলে এসে থাকতে শুরু করে৷ মহালক্ষ্মীর জন্মও বেঙ্গালুরুতেই৷  বিবাহিত হলেও স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে  থাকতেন মহালক্ষ্মী৷ একটি মলে কাজ করতেন তিনি৷ প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনায় নিহতের লিভ ইন পার্টনারকেই সন্দেহ করছে পুলিশ৷