Tag Archives: Bhuvneshwar Kumar

ভুবনেশ্বর কুমার: জীবন, কেরিয়ার, সাফল্য এক ঝলকে

পুরো নাম: ভুবনেশ্বর কুমার সিং

জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০

উচ্চতা: ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: ডান-হাতি ব্যাটার, ডান-হাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার

পরিবার:

পিতা: কিরণ পাল সিং

মাতা: ইন্দ্রেশ সিং

স্ত্রী: নূপুর নাগর

ভুবনেশ্বর কুমার জন্মেছেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। তাঁর বাবা এক জন সাব-ইনস্পেক্টর। তাঁর একটি দিদি রয়েছে, যাঁর নাম রেখা আধানা। এই দিদিই ক্রিকেট খেলার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন ভাইকে। আর তাঁর হাত ধরেই প্রথম ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে যান ভুবনেশ্বর। ২০১৭ সালে ভুবনেশ্বর কুমার এবং নূপুর নাগর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

কেরিয়ারের সূচনা:

ভুবনেশ্বর কুমার হলেন এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় কুমারের। উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলার পাশাপাশি সেন্ট্রাল জোনের হয়ে দিলীপ ট্রফিতেও খেলেছেন তিনি। ২০০৮-০৯ রঞ্জি সিজনের ফাইনালে, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার হিসেবে তিনিই প্রথম সচিন তেন্ডুলকরকে শূন্য রানে আউট করেন। 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:

২০১২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় ভুবনেশ্বর কুমারের। এই ম্যাচে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি। এর কয়েক দিন পর একই দলের বিপক্ষে ওডিআই-এ অভিষেক হয় তাঁর। ওয়ান-ডে ফরম্যাটের প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই মহম্মদ হাফিজের উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। এর পর থেকে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। 

২০১৩ সাল কুমারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। এই বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হওয়ার পাশাপাশি ‘২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ’ও জিতেছিলেন তিনি। ভারতীয় দলের জন্য খেলে ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলেন এবং টুর্নামেন্টের আইসিসি দলের অংশ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল তাঁকে। টেস্ট ডেবিউ ম্যাচে ১০ নম্বরে নেমে ৩৮ রান করে ভারতীয় হিসেবে শেষে নেমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। তার অভিষেক টেস্ট সিরিজে মোট ৪টি ম্যাচে ৬টি উইকেট নেন। এই বছরই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন।

২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন তিনি। এই সিরিজে ভুবনেশ্বর ৯ নম্বরে নেমে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি বা অর্ধ-শত রান করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। ফিটনেস সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ার কারণে ২০১৫ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন কুমার। এর পর ২০১৭ সালে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন তিনি। ২০১৮ সালে টি-২০ সিরিজে ভারতের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার।

আইপিএল কেরিয়ার:

ঘরোয়া সার্কিটে চিত্তাকর্ষক পারফরমেন্সের পর, ২০০৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলার সুযোগ পান ভুবনেশ্বর কুমার। তবে পরের বছর পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেন তিনি। এ-ছাড়া ২০১৪ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ কিনে নিয়েছিল তাঁকে। ২০১৬ সালে ২৩টি উইকেট নিয়ে আইপিএল ট্রফির পাশাপাশি তিনি জিতেছিলেন পার্পল ক্যাপও।  ২০১৮ সালে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সহ-অধিনায়ক হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বর কুমারের।

রেকর্ড:

  • ভুবনেশ্বর কুমার ২০১৩ সালের অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮ রান করা দশম ভারতীয় ক্রিকেটার।
  • একই সিরিজে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করা নবম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার।

যে কোনও দিন অবসর নেবেন! তারকা ক্রিকেটারের কেরিয়ার শেষ! কে দায়ী?

কলকাতা: টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে তাঁর ফেরা কার্যত অসম্ভব। ভারতের হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে আর তাঁকে দেখা যাবে না হয়তো!

ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই খেলোয়াড়কে প্রথমে টেস্ট দল থেকে, তার পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে এবং পরে ওডিআই দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের এই খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার এখন শেষ বলেই ধরা হচ্ছে।

টিম ইন্ডিয়ার কিংবদন্তি পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের কেরিয়ার শেষ বলে মনে করা হচ্ছে। এই ক্রিকেটারের কাছে এখন একমাত্র বিকল্প অবসর। ভুবনেশ্বর কুমার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে তাঁর শেষ ওডিআই ম্যাচ খেলেছিলেন ২১ জানুয়ারি ২০২২-এ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- ঝুলেই রইল ভিনেশের রুপোর পদক মামলা! কবে সিদ্ধান্ত জানা গেল দিনক্ষণ

এছাড়াও ভুবনেশ্বর কুমার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন ২২ নভেম্বর ২০২২-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গ টেস্ট ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ভুবনেশ্বর কুমার ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হন। কিন্তু তার পরে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হয়ে যায়।

এর পর আর ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাননি ভুবনেশ্বর কুমার। টেস্ট ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ভুবনেশ্বর কুমার বল দুদিকে সুইং করাতে পারতেন।

আরও পড়ুন- আশা আছে! ভিনেশ ফোগট জিতবেন রুপো! ঘোষণা কবে, কখন? সময়টা জেনে নিন

প্রয়োজনের সময় ভারতীয় দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে ব্যাট হাতেও ভাল পারফর্ম করতেন। ২০১৮ সালে তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমার জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৬৩ রান করেছিলেন। আবার ৪টি উইকেটও নিয়েছিলেন।

এখন মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রিত বুমরাহ এবং আরশদীপ সিং-এর মতো ফাস্ট বোলাররা টিম ইন্ডিয়াতে তাঁদের জায়গা করে নিয়েছেন। এর বাইরে মহম্মদ শামিও রয়েছেন।

এই বোলারদের কারণে ভুবনেশ্বর কুমারের পক্ষে ভারতীয় দলে ফেরা এখন অসম্ভব। ভুবনেশ্বর কুমার এখন আগের মতো গতিতে বোলিং করতে পারেন না। ভুবনেশ্বর কুমার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ এবং এশিয়া কাপ ২০২২-এ ভারতের পরাজয়ের সবচেয়ে বড় ভিলেন হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিলেন।

কেরিয়ার শেষ ভারতের ‘এই’ দুই তারকা ক্রিকেটারের! টিম ইন্ডিয়ার দরজা একেবারে বন্ধ!

মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট দলে নির্বাচিত হওয়া যতটা কঠিন, টিম ইন্ডিয়াতে নিজেকে ধরে রাখা তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কারণ দলের বাইরে অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও সুযোগ পাচ্ছেন না।

দুজন ভারতীয় ক্রিকেটার এমন আছেন যাঁদের টেস্ট কেরিয়ার প্রায় শেষ! ভারতীয় টেস্ট দলের দরজা তাঁদের জন্য বন্ধ বলেই মনে করা হচ্ছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ২ জন খেলোয়াড় কারা:

প্রথমজন হলেন শিখর ধাওয়ান। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে দুরন্ত পারফরম্যান্স রয়েছে তাঁর। এমনকী টেস্ট ক্রিকেটেও শিখর ৩৪টি ম্যাচে ৪০.৬১ গড়ে ২৩১৫ রান করেছেন, তার মধ্যে সাতটি সেঞ্চুরি রয়েছে। এখন শিখর ধাওয়ানের পক্ষে টেস্ট দলে ফেরা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন- দ্রাবিড়ের পরের চাকরি পাকা! ১২ কোটি টাকার থেকেও বড় অফার! নেপথ্যে সেই ‘দাদা’

২০১৮ সাল থেকে ধাওয়ান টেস্ট ক্রিকেটে খেলেননি। ধাওয়ান বর্তমানে ক্রিকেটের কোনও ফরম্যাটে টিম ইন্ডিয়াতে নির্বাচিত হন না। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ধাওয়ান তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন।

—- Polls module would be displayed here —-

ভুবনেশ্বর কুমারও টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে আর সুযোগ পাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনটি ফরম্যাটেই তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্স রয়েছে। তিনি ২১টি টেস্ট ম্যাচে ৬৩টি উইকেট নিয়েছেন।

২০১৮ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। ওডিআই ফরম্যাটে তিনি ১২১টি ম্যাচ খেলে ১৪১টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এই ফরম্যাটে ভারতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি ৮৭টি ম্যাচ খেলে ৯০ টি উইকেট পেয়েছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন।

আরও পড়ুন- শুক্রবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, কোথায় দেখবেন? খেলা ক’টা থেকে শুরু, জেনে নিন

২০১৮ সালে চোটের কারণে ভুবি টেস্ট ক্রিকেটের মতো দীর্ঘ ফর্ম্যাট থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করেন। তার পর থেকে তিনি একটিও টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি।

Ind vs Aus: ভুবনেশ্বর কুমার কেন ১৯ তম ওভারে বল করছেন, উত্তর চাই!

#ইনদওর: ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার নিজের অভিষেক টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ তে ম্যাচ খেলেছিসেন ভুবি৷ সেই সময় থেকে ১০ বছর হয়ে গেছে তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে টি টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছেন৷ শুধু তাই নয়, ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি৷ তিনি ভারতীয় বোলিং অ্যাটাকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ নতুন বলের সঙ্গে ভুবনেশ্বর কুমার একেবারে বিপক্ষকে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন৷ কিন্তু ডেথ ওভারে (১৭ কিম্বা ১৯) তাঁকে খুব বেশি ভরসা করা যায় না৷

কারণ এশিয়া কাপে পাকিস্তান ফের শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মোকাবিলায় ভুবনেশ্বর কুমার ১৯ তম ওভারে বীভৎস রান দেওয়ার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল, ক্ষুব্ধ ফ্যানরাও৷ তাঁর ব্যাপক রান দেওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়াল বিরুদ্ধে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে হারে ভারত৷

 

আরও পড়ুন –  Weather Update: তোলপাড় হবে ১২ রাজ্য, বৃষ্টির চরম পূর্বাভাস, পশ্চিমবঙ্গের ওয়েদার আপডেট এক ক্লিকে

 

এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাল হয়ে যায় ভুবনেশ্বর কুমারের বিরুদ্ধে মিম তৈরি করেন৷

 

এদিকে এশিয়া কাপে প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে শ্রীলঙ্কা এখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৯ তম ওভারে অধিক রান লুটানোর পর টিম ইন্ডিয়ার হাত থেকে জয় ছিটকে যায়৷ অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভুবনেশ্বর কুমারের হাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ভিলেনের চেয়ে কম নয়৷

 

আরও পড়ুন –  School Dress: ‘‘বিজেপি শাসিত অসম, গুজরাতে স্কুলের পোষাকের রঙ আগেই বদল হয়েছে’’- বিধানসভায় ব্রাত্য বসু

ভুবনেশ্বর কুমার ২১ টেস্ট, ১২১ ওয়ান ডে, ৭৭ টি টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলার বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ ভুবনেশ্বর কুমারকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের ধারণা একেবারে পরিষ্কার৷ শুধু টেস্ট ম্যাচ নয় তাঁকে শর্ট ফর্ম্যাটেও খেলানো হয়৷ ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টির তিনি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য৷ জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে তিনি নতুন বলে শুরু করবেন৷ তিনি উইকেট পাইয়ে দেবেন এই বিশ্বাস নিয়েই তাঁর হাতে বল তুলে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট৷

৫.৬৬ শানদার ইকনমি রেট তাঁর৷ কিন্তু তাঁর বল যত পুরনো হয় তত ব্যাটের ধার কমে৷ তাঁর ইকনমি ডেথ ওভারে ৯.২৬ হয়ে যায়৷ অর্থাৎ ডেথ ওভারে তাঁর গড় প্রতি ওভারে ৯.২৬৷  এই কারণে সকলেই তাঁর সহজ শিকার৷

ভুবনেশ্বর কুমার স্লগ ওভারে অফ সাইড ওয়াইড লাইন ইয়র্কারে ভরসা করেন৷ কিন্তু এশিয়া তাপে তাঁর চাল ক্রিকেটারদের কাত করতে পারেনি৷ ভারতের কাছে অর্শদীপের মতো একটু বেশি জোরে বল করার বোলার রয়েছে৷ কিন্তু হর্ষল প্যাটেলের মতো একটা ভেরিয়েশন বোলার রয়েছে? তাহলে কেন ভুবনেশ্বর কুমার৷ ১৯ ও ২০ তম ওভারে ভুবির কাজ সেরে দিতেন৷

জসপ্রীত বুমরাহের ৪৮ বলে ৭.৮৭ এ ৩ উইকেট থাকে৷ হর্ষল প্যাটেল ৩৬ বলে ৮.৫ ইকনমি ২ উইকেট৷

ভুবনেশ্বর, হর্ষলদের জঘন্য বোলিং এবং শিক্ষানবিশ ফিল্ডিং ! অস্ট্রেলিয়ার কাছে উড়ে গেল ভারত

#মোহালি: ভারতের রান তাড়া করতে নেমে যেভাবে শুরু করল অস্ট্রেলিয়া, তাতে মনে হচ্ছিল রকেট গতিতে জয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে তারা। ওপেনিং পার্টনারশিপে ফিঞ্চ এবং গ্রিন শুরু থেকেই মারকুটে ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন। অক্ষর ফিঞ্চকে আউট করলেও গ্রিন নিজের দুর্দান্ত ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকেন। এই দীর্ঘকায় অস্ট্রেলিয়ান ৩০ বলে ৬১ করেন।

আট বাউন্ডারি এবং চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। প্রথম ১০ ওভারে ১০০ পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে সহজ ক্যাচ মিস করেন রাহুল এবং অক্ষর। কিন্তু ১২ ওভারে উমেশ পরপর আউট করেন স্মিথ এবং ম্যাক্সওয়েলকে। কিন্তু এরপর ম্যাথু ওয়েড এবং টিম ডেভিড টেনে নিয়ে যেতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। জঘন্য বল করলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ডেথ ওভারে জলের মতো রান দিলেন।

প্রায় একই অবস্থা হর্ষল প্যাটেলের। উইকেট পেলেন না, প্রচুর রান দিলেন।১৮ ওভারে ২২ রান দিলেন তিনি। একের পর এক ওয়াইড করে গেলেন ভুবনেশ্বর। তিনিও আটকাতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ানদের। ভারত হারল। শেষের দিকের ওভার ভারত বিপক্ষকে আটকাতে পারে না আবার প্রমাণিত হল। রোহিত অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। ১১ করে ফিরে গেলেন।

কিন্তু এরপর দেখার ছিল বিরাট কোহলি কতটা কি করতে পারেন। তিনিও দূরান করে ফিরে গেলেন। এলিসের বলে গ্রিনের হাতে ধরা পড়লেন। কিন্তু তুখোর ব্যাটিং করতে থাকলেন কে এল রাহুল। বুঝিয়ে দিলেন তাকে ওপেনিং থেকে সরানোর আলোচনা করাটা সময় নষ্ট মাত্র। দেখার মত কিছু শট খেললেন। টাইমিং ছিল দেখার মত।

আজ নিশ্চিত হয়ে গেল রাহুল ধীরে ধীরে নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন। ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। দেখে মনে হচ্ছিল আজ জবাব দিতে নেমেছেন রাহুল। তবে হঠাৎ করেই গতির পরিবর্তে হাজলউডের বলে আউট হয়ে গেলেন। অন্যদিকে সূর্য কুমার যাদব যথেষ্ট ভাল পারফরম করলেন।

চার নম্বর জায়গাটা বিশ্বকাপে তার জন্য প্রমাণ করে দিলেন সূর্য। বুদ্ধি করে ব্যাট করলেন। শক্তির প্রয়োগ ঘটালেন প্রয়োজন বুঝে। ২৫ বলে ৪৬ করলেন দেখার মতো ভঙ্গিতে। মারলেন দুটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি। ৪৬ করে ফিরে গেলেন গ্রিনের বলে। বাকিটা হার্দিক পান্ডিয়া নিজের মারকুটে ব্যাটিং এর প্রমাণ রাখলেন। ওয়াডে অপরাজিত থেকে গেলেন ৪৫ রানে। চার বল বাকি থাকতেই জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া।