আজকাল বেশিরভাগ মানুষই খারাপ জীবনযাত্রার কারণে কোনও না কোনও রোগে ভুগছে। আর এই সব কারণে হাসপাতালগুলিতেও উপচে পড়ছে রোগীর ভিড়। যদিও আমাদের শরীরের সব অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া উচিত আমাদের চোখের উপর। কারণ চোখে কোনও রকম সমস্যা হলে মানুষের দেখতে সমস্যা হয়। ফলে তাঁরা আরও অসহায় হয়ে পড়েন।আবার বেশির ভাগ মানুষই চোখের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেন না। এমনকী চোখের সমস্যা হলেও সেই বিষয়টাকেও সেরকম আমল দেন না। যার কারণে ছানি পড়ার মতো গুরুতর সমস্যাও তৈরি হতে থাকে। বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য জেলাগুলির মানুষের মধ্যে ছানির উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে।চিকিৎসকদের মতে, পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ক্রমাগত বাড়ছে সাদা ছানির সমস্যা। আলমোড়া মেডিক্যাল কলেজের চক্ষুবিদ্যা বিভাগের এইচওডি অধ্যাপক ডা. এস. দাশগুপ্ত এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন।লোকাল ১৮-এর সঙ্গে কথা বলার সময় ডা. দাশগুপ্ত জানান যে, তিনি প্রায় ৩ বছর ধরে আলমোড়া মেডিক্যাল কলেজে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করছেন। পাহাড়ি মানুষের মধ্যে সাদা ছানির সমস্যা ক্রমে বেড়েছে চলেছে। কিন্তু এর কারণ কী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনে করেন যে, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করাই এই সমস্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া ডায়াবেটিসের কারণেও অনেকের ছানির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।দায়ী অ্যালকোহল আর সিগারেটও: ডা. দাশগুপ্ত বলেন, অনেকের মধ্যেই ধূমপান কিংবা মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কেউ অ্যালকোহল এবং সিগারেট সেবন করেন, তাহলে সাদা ছানি রোগের উপসর্গ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।এই রোগের কারণে আমাদের চোখের লেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সাদা ছানি পড়তে শুরু করে। ওই চিকিৎসক আরও বলেন যে, চল্লিশ বছর বয়সের পরে মানুষের মধ্যে সাধারণত সাদা ছানির লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক যে, ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও সাদা ছানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।