Tag Archives: Energy Drinks

Energy Drink: ক্লান্ত হলেই খেয়ে নেন এনার্জি ড্রিঙ্ক? জানেন কী মারাত্বক ভুল করছেন?

ঘন ঘন কফি খাওয়ার অভ্যাস? কিংবা ক্লান্ত লাগলেই কিনে খান এনার্জি ড্রিঙ্ক? সাবধান। এই ধরনের পানীয়ে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আপনার প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। এমনই জানাচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

আজকাল ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে কিংবা ক্যাফেতেও দেদার মেলে এনার্জি ড্রিঙ্ক। খেলে মনে হয় ক্লান্তি চলে গেল। কিন্তু ব্যাপারটা ম্যাজিক নয়। এই ধরনের বাজারচলতি পানীয়ে বেশ কিছু স্টিমুল্যান্টস বা উদ্দীপক থাকে। যা হঠাৎ করেই আপনার রক্তচাপ এবং হৃদগতি বাড়িয়ে দেয়। আপনি সাময়িক প্রশান্তি বোধ করলেও আখেরে এটি আপনার চরম ক্ষতি করছে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এনার্জি ড্রিঙ্ক অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই, এতেও থেকে যায় হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা। পলি পড়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ধমনীও।

এমজিএম হেলথকেয়ারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ শ্রীচরণ এল বলেন, “কফি ছাড়া অন্যান্য উত্তেজক পানীয়ে টরিন, গুয়ারানা এবং জিনসেং -এর মতো উপাদান থাকে। যা হৃদযন্ত্রের উপর ছাপ বাড়ায়। অনিয়মিত হয়ে পড়ে হৃদস্পন্দন। হতে পারে হার্ট আট্যাকও।” তাই সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। আরও জানান, কফিও খুব একটা নিরাপদ পানীয় নয়। উদ্দীপক উপাদান থাকে এই পানীয়েও। বেশি খেলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন দেখা দিতে পারে।

তবে, ভালবাসার জিনিস কি একেবারেই ছাড়া যায়? চিকিৎসকদের পরামর্শ হল, কফি বা এনার্জি ড্রিঙ্ক ভালবাসলে মাঝে সাঝে চলতেই পারে। তবে নিয়মিত একেবারেই না। পরিমাণেও বেশি খাওয়া যাবে না।

 

 

 

 

 

 

Health Tips: ক্লান্তি মেটাতে এনার্জি ড্রিঙ্ক? হীতে বিপরীত হচ্ছে! কী কী মারণ-বিপদ ডেকে আনছেন? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

বাজারে আজকাল হরেক রকমের এনার্জি ড্রিঙ্ক বিক্রি হয়। কোনওটা নীল, কোনওটা সবুজ, কোনওটা বা গোলাপি। দুর্দান্ত প্যাকেজিং, খেতেও সুস্বাদু। বড় বড় তারকারা এই সব এনার্জি ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপন করেন। তরুণ-তরুনীদের মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কথায় কথায় এনার্জি ড্রিঙ্কে গলা ভেজানো কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বাজারে আজকাল হরেক রকমের এনার্জি ড্রিঙ্ক বিক্রি হয়। কোনওটা নীল, কোনওটা সবুজ, কোনওটা বা গোলাপি। দুর্দান্ত প্যাকেজিং, খেতেও সুস্বাদু। বড় বড় তারকারা এই সব এনার্জি ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপন করেন। তরুণ-তরুনীদের মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কথায় কথায় এনার্জি ড্রিঙ্কে গলা ভেজানো কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
গরমকালে তো বটেই, মরশুম যাই হোক না কেন, ঘনঘন এনার্জি ড্রিঙ্ক পান শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। লাভের লাভ হয় না কিছুই। উল্টে শরীরের ক্ষতি করে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
গরমকালে তো বটেই, মরশুম যাই হোক না কেন, ঘনঘন এনার্জি ড্রিঙ্ক পান শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। লাভের লাভ হয় না কিছুই। উল্টে শরীরের ক্ষতি করে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করলেই শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ফিটনেসের ক্ষতি হতে পারে। সম্প্রতি অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের ফলে মাথা ঘোরা, শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে গাজিয়াবাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেক তরুণ-তরুণী। তারপরই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করলেই শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ফিটনেসের ক্ষতি হতে পারে। সম্প্রতি অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের ফলে মাথা ঘোরা, শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে গাজিয়াবাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেক তরুণ-তরুণী। তারপরই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

হর্ষ ইএনটি হাসপাতালের বর্ষীয়াণ চিকিৎসক ব্রিজপাল ত্যাগী বলেন, সমস্ত এনার্জি ড্রিঙ্কেই অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। এছাড়া থাকে টরিন, মিনারেল এবং ভিটামিন। মিনারেল এবং ভিটামিনের ফলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না ঠিকই, কিন্তু ক্যাফেইন এবং টরিন স্নায়ুর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

হর্ষ ইএনটি হাসপাতালের বর্ষীয়াণ চিকিৎসক ব্রিজপাল ত্যাগী বলেন, সমস্ত এনার্জি ড্রিঙ্কেই অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। এছাড়া থাকে টরিন, মিনারেল এবং ভিটামিন। মিনারেল এবং ভিটামিনের ফলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয় না ঠিকই, কিন্তু ক্যাফেইন এবং টরিন স্নায়ুর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

শরীরে যত বেশি এনার্জি ড্রিঙ্ক যায়, তা শরীরের এক্সট্রা ভাস্কুলার স্পেসে চলে যায়। ফলে ব্লাড প্রেশার কমে যায়। অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে।
শরীরে যত বেশি এনার্জি ড্রিঙ্ক যায়, তা শরীরের এক্সট্রা ভাস্কুলার স্পেসে চলে যায়। ফলে ব্লাড প্রেশার কমে যায়। অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিঙ্ক পানের ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে।
ডাঃ ব্রিজপাল ত্যাগী বলেন, “খেলাধুলা বা জিম করে এমন অনেক তরুণ-তরুণী প্রতিদিন আমাদের কাছে আসছেন। এঁদের বেশিরভাগই এই ধরনের এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করেন। তারপর খেলতে নামেন বা জিম শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারান। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণেই তাঁরা জ্ঞান হারিয়েছেন”।
ডাঃ ব্রিজপাল ত্যাগী বলেন, “খেলাধুলা বা জিম করে এমন অনেক তরুণ-তরুণী প্রতিদিন আমাদের কাছে আসছেন। এঁদের বেশিরভাগই এই ধরনের এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করেন। তারপর খেলতে নামেন বা জিম শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারান। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণেই তাঁরা জ্ঞান হারিয়েছেন”।
 এরকমই এক রোগী জানিয়েছেন, তিনি দিনে দুটো এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করেন। একদিন হঠাৎই তিনি দুর্বল বোধ করেন, শরীরে যেন জোর নেই। তারপরই আচমকা চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে গাজিয়াবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরকমই এক রোগী জানিয়েছেন, তিনি দিনে দুটো এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করেন। একদিন হঠাৎই তিনি দুর্বল বোধ করেন, শরীরে যেন জোর নেই। তারপরই আচমকা চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে গাজিয়াবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।