Tag Archives: Farmers Loan

পশুপালনের জন্য ঋণ চাই? এই ভাবে আবেদন করুন, ফল পাবেন হাতেনাতে! জেনে নিন বিশদে

পশুপালন একটি লাভজনক ব্যবসা, এই ব্যবসা শুরু বা প্রসারিত করতে, কৃষকরা প্রায়শই ঋণের প্রয়োজন অনুভব করেন। সরকার এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কৃষকদের পশুপালনের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রয়েছে, যা সম্পূর্ণ করার পরেই ঋণ অনুমোদন করা হয়। বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ কুমার সহজ ভাষায় এটি সম্পর্কে কৃষকদের তথ্য দিয়েছেন এবং আবেদনের সময় কোন ভুলগুলি করা উচিত নয় তাও ব্যাখ্যা করেছেন।

ঋণের জন্য আবেদন করার আগে এই নথিগুলি প্রয়োজন

পশুপালনের জন্য ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ, যদি সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট সঠিক ভাবে জমা দেওয়া হয়, তাহলে দ্রুত ঋণের আবেদন গ্রহণ করা হবে। প্রথমত, কৃষককে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে কৃষকের ব্যক্তিগত তথ্য, পশুপালনের বিবরণ এবং প্রয়োজনীয় ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। এর পরে পরিচয় প্রমাণ হিসাবে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি নথি ঠিকানা প্রমাণের জন্য জমা দিতে হবে। জলের বিল, গত ছয় মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, জমির নথি যেমন জমির মালিকানার প্রমাণপত্র, জমির লিজের প্রমাণপত্র ইত্যাদি এবং আয়ের প্রমাণের জন্য গত বছরের আইটিআর, পে স্লিপ ইত্যাদি ও পশুপালন প্রকল্পের অধীনে একটি বিশদ বিবরণ যেমন, প্রাণীর সংখ্যা, ব্রিড, খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধার বিবরণ জমা দিতে হবে।

প্রকল্প সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য

প্রথমে পশুপালনের জন্য একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে ব্যবসার সম্ভাবনা, লাভ-ক্ষতি বিশ্লেষণ এবং ব্যয়ের বিবরণ থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, ব্যাঙ্ক ঋণের বিপরীতে সম্পত্তি বন্ধক রাখার দাবি করে। বন্ধকের জন্য জমি, বাড়ি বা অন্যান্য সম্পত্তির দলিল উপস্থাপন করতে হবে। এর পরে, জমা দেওয়া নথিগুলি ব্যাঙ্ক দ্বারা যাচাই করা হয়। ব্যাঙ্কের আধিকারিকরাও পশুখামারের সাইটে পরিদর্শনের জন্য যেতে পারেন। আধিকারিকদের যাচাইয়ের পরে, একটি ঋণ অনুমোদনের চিঠি দেওয়া হয়, যা ঋণের পরিমাণ, সুদের হার এবং পরিশোধের সময়কাল উল্লেখ করে।

এই সমস্ত কারণে ঋণ প্রত্যাখ্যাত হতে পারে

ঋণ প্রত্যাখ্যানের কিছু কারণ রয়েছে। কৃষকদের দ্বারা উপস্থাপিত নথিগুলি অসম্পূর্ণ বা ভুল হলে, ঋণ প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। পূর্ব ক্রেডিট স্কোরের কারণেও অনেক সময় ঋণ অনুমোদিত হয় না। ব্যাঙ্ক পুরনো ঋণ এবং অর্থশোধের অবস্থানও পরীক্ষা করে।