ব্যবসা-বাণিজ্য Gold Price: ২০২৪-এ কি সোনার দাম কমতে পারে? কত হবে ১০ গ্রামের দাম Gallery May 15, 2024 Bangla Digital Desk আন্তর্জাতিক বাজারের প্রবণতা, অর্থনৈতিক অবস্থা, ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা এবং মুদ্রার ওঠানামার মতো কারণগুলো বিশ্লেষণ করে সোনার দাম বাড়বে না কমবে, তা বলা যায়। এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে ভারতে সোনার দাম কমতে পারে। এর প্রধান কারণ হল, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। সোনায় বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাজার ট্রেন্ড খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যে বিষয়গুলি সোনার দামকে প্রভাবিত করে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সোনার দাম কখনও স্থির থাকে না। চাহিদা এবং বাজার তো বটেই পাশাপাশি অনেক জটিল বিষয়ের উপর নির্ভর করে সোনার দাম ওঠানামা করে। বাজারের অস্থিরতা: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, সুদের হার এবং মুদ্রার ওঠানামা সহ বিভিন্ন কারণে সোনার দাম বাড়ে বা কমে। এই কারণগুলো সোনার দামে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেন্ড: অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে সোনায় বিনিয়োগ করে মানুষ। প্রাচীনকাল থেকে এটাই চলে আসছে। মুদ্রাস্ফীতির যুগে বিনিয়োগকারীরা সোনাকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন। তবে সার্কুলার ইকোনমিতে সোনার দাম কমে। চাহিদা এবং যোগান: সোনার যোগান সবসময় স্থিতিশীল, কারণ সীমাবদ্ধ সম্পদ। সোনার দাম যখন কমে তখন চাহিদা বাড়ে। বিনিয়োগ এবং গয়না, উভয় ক্ষেত্রেই। ফলে দামেও প্রভাব পড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতি: সুদের হার এবং আর্থিক নীতির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে সোনার দামে। সুদের হার কম থাকলে সোনার চাহিদা বাড়ে। কারণ তখন অন্যান্য সম্পদের তুলনায় সোনা আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কারেন্সি: বিশ্বব্যাপী সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ডলারে। ফলে ডলারের ওঠানামা সোনার দামে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। ডলারের দাম কমলে সোনার দাম বাড়ে। বৈশ্বিক ঘটনা: বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সোনা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়। ফলে সোনার দামে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। এছাড়াও চার্ট সূচক এবং দামের ধরণ দেখে স্বল্পমেয়াদে সোনার দামের পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য Gold Price: ২০৩০ সালে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম কত হবে জানেন ? Gallery April 30, 2024 Bangla Digital Desk মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। বিনিয়োগকারীরাও পড়ে গিয়েছেন দোলাচলে। যে হলুদ ধাতু চোখে চমক আনে, তার দিকে যে তাকানো দায়! ইদানীং সোনার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবান ধাতুটি ২০২৪ সালের প্রাথমিক ত্রৈমাসিকে ১৩% এর বেশি বেড়েছে। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সোনার দাম আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে, যা সৃষ্টি করতে পারে নতুন এক রেকর্ড। সিএনবিসি আওয়াজের সঙ্গে সাম্প্রতিক কথোপকথনে, Vighnaharta Gold-এর চেয়ারম্যান মহেন্দ্র লুনিয়া বলেছেন যে, ২০৩০ সাল নাগাদ সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম ১.৬৮ লক্ষ টাকায় পৌঁছতে পারে। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা থেকে শুরু করে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পর্যন্ত বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণে সোনার দামের উর্ধ্বগতিতে বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ক্রয়, মুদ্রাস্ফীতির চাপ, বর্ধিত খুচরো চাহিদা, এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডের (ETFs) মাধ্যমে সুদের বৃদ্ধি, ২০১৬ সাল থেকে সোনার খনির উৎপাদন স্থবিরতা, এবং ডি-ডলারাইজেশনের প্রভাব সবই সোনার মূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এর ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সোনার দাম। যা সৃষ্টি করছে নতুন নতুন রেকর্ড। সোনা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে একটি নির্ভরযোগ্য হেজ হিসাবে কাজ করে এবং বিনিয়োগ পোর্টফোলিওগুলির মধ্যে একটি বৈচিত্র্যকরণের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে। তাই, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিওগুলিকে যত্ন সহকারে মূল্যায়ন করুক এবং একটি অংশ সোনায় উৎসর্গ করার কথা বিবেচনা করুক। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের তাদের বিনিয়োগের ১০% সোনায় বিনিয়োগ করা উচিত। এই ক্ষেত্রে, সার্বভৌম সোনার বন্ড (SGBs) একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসাবে আবির্ভূত হয়। এই বন্ডগুলি বাজারের অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তার অনুভূতি প্রদান করে এবং পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যকে সহজতর করে। সোনার দামের প্রতিশ্রুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন সোনা কেনা আগামী ৪-৫ বছরের জন্য একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ। কারণ ২০৩০ সালের মধ্যে সোনার দাম একটি বিশাল উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারে।