মহমেডান স্পোর্টিং – ১
গোকুলাম – ২
#কলকাতা: কিছুদিন আগেই সন্তোষ ট্রফিতে ঘরের মাঠে আয়োজক কেরল হারিয়েছিল বাংলাকে। শনিবার বাংলার ক্লাব মহমেডানের সামনে ছিল সেই কেরলেরই এক ক্লাব। কিন্তু চিত্রনাট্যে বদল এবারেও হল না। মহমেডানের ইতিহাস গড়া হল না। প্রথমবার আই লিগ জয়ের সামনে এসেও পারল না মহমেডান। শেষ ধাপে এসেই থেমে যেতে হল তাদের।
শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে তারা হেরে গেল গোকুলম কেরলের কাছে। ম্যাচের ফল গোকুলমের পক্ষে ২-১। গোকুলমের গোলদাতা রিশাদ এবং এমিল বেনি। মহমেডানের একমাত্র গোল আজহারউদ্দিন মল্লিকের। এখনও পর্যন্ত কোনও দলই টানা দু’বার আই লিগ জেতেনি। গোকুলম সেই রেকর্ড গড়ে ফেলল।
এর আগে জাতীয় লিগ থাকার সময় ইস্টবেঙ্গল পর পর দু’বার লিগ জিতেছিল। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে একবার আই লিগ ট্রফি ঢোকেনি মহমেডানের ঘরে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল খেলার সময় তারা যোগ্যতা অর্জনই করতে পারত না। যখন দাপিয়ে খেলেছে, তখনও কোনও দিন জয়ের কাছাকাছি আসেনি।
History for the club from the South!??#GokulamKeralaFC #ILeague #GKFC pic.twitter.com/LU6kDE2Evo
— Transfermarkt India?? (@TMindia_news) May 14, 2022
সেই আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ এসেছিল শনিবার। তবে এবারও খালি হাতেই থাকতে হল মহমেডানকে। এদিনের ম্যাচে যে দল জিতবে, আই লিগ ট্রফিও তাদের ঘরেই ঢুকত। যুবভারতীর হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তেড়েফুঁড়েই শুরু করে মহমেডান। শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নেয়। গোকুলমের কাছে ড্র হলেই যথেষ্ট ছিল। ফলে তারা বল পায়ে রেখে খেলার নীতি অনুসরণ করে।
২৫ মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। কিন্তু গোকুলমের ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করে দেন। কিছুক্ষণ পরে মার্কাস জোসেফও ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শটে জোর ছিল না। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় গোকুলম।
একক দক্ষতায় গোল করেন রিশাদ। কোচ এই সময় জোড়া বদল করেন। নামিয়ে দেন আজহারউদ্দিন মল্লিক এবং ফয়সল আলিকে। ৫৭ মিনিটেই গোল শোধ করে মহমেডান। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক নিয়েছিলেন মার্কাস। তা আজহারউদ্দিনের গায়ে লেগে গোলে ঢোকে।
চার মিনিটের মধ্যে ফের এগিয়ে যায় গোকুলম। লুকা মাসেনের পাস থেকে দারুণ গোল করেন বেনি। এরপর অনেক চেষ্টা করেও আর গোল শোধ করতে পারেনি কলকাতার ক্লাব। ভারতসেরা হওয়া হল না মহমেডানের। যুবভারতীতে উপস্থিত প্রায় ৫০ হাজার দর্শক দুঃখ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। কিন্তু এটাই ফুটবল। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।