*গ্রীষ্মের শুরু থেকে বর্ষার শেষ পর্যন্ত ঘরে টিকটিকির বাড়বাড়ন্ত অতিষ্ট করে তোলে। যারা ভয় পান টিকটিকিতে, তাদের জন্য আতঙ্ক বাড়ে। বিশেষ করে বর্ষাকালে দেওয়াল থেকে নেমে মাটিতে হাঁটতে শুরু করে বিশাল মাপের টিকটিকি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই, অনেক পন্থা অবলম্বন করেছেন। কিন্তু দিনের শেষে দেখা গিয়েছে কোনওকিছুতেই কোনও কাজ হয়নি। বহালতবিয়েতে ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে দানবীয় এক একটি টিকটিকি, আর আপনি সিঁটিয়ে রয়েছেন ভয়ে। তবে আর ভয় নেই, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই গাছগুলি ঘরে থাকুক, এতে টিকটিকি অনেকাংশে দূরে সরে যাবে।*নিম টিকটিকি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। বাড়ির উঠানে বা বাড়ির একেবারে গা ঘেঁসে নিম গাছ থাকলে ঘরে টিকটিকির আনাগোনা অনেকাংশে কমে যাবে। নিমে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এর তীব্র গন্ধ টিকটিকির অবাধ বিচরণে বাধা দেয়।*প্রায় প্রতি গৃহস্থের বাড়িতেই তুলসি গাছ থাকে। বাড়ির উঠানে তুলসি মঞ্চ করা হয়। এই গাছে মিথাইল সিনামেট, লিনালুল এবং কর্পূরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারণে টিকটিকি এইগন্ধ থেকে দূরে সরে যায়।*বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ল্যাভেন্ডার গাছের গন্ধ খুবই শক্তিশালী। এটি সাধারণত পারফিউম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই তীব্র গন্ধ মাথাব্যথা যেমন দূর করে, তেমনই টিকটিকি তাড়াতে খুবই কার্যকর। ঘরে এই গন্ধ থাকলে টিকটিকি ঘরে আসে না।*পুদিনা গাছ টিকটিকি তাড়ানোর জন্য কার্যকর। পুদিনার ফ্লেভার খুবই শক্তিশালী, এতে মেন্থল নামে একটি কেমিক্যাল থাকে। এই কেমিক্যালের কারণে টিকটিকি সহজেই বেরিয়ে যায়।*গাঁদা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই উপকারিতাও অনেক। গাঁদা ফুলে পাইরেথ্রিন এবং ট্র্যাপি নামক কীটনাশক থাকে। গাঁদার গন্ধে নাকি টিকটিকি অসুস্থ বোধ করে, তাই ঘরের আশেপাশে এই ফুল থাকলে দূর-দূরান্তেও টিকটিকি দেখতে পাবেন না।
আমাদের সবার বাড়িতে টিকটিকি ঘুরে বেড়ায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে তা বেশি দেখা যায়। কথিত আছে যে টিকটিকি দেখা শুভ। অনেক বাড়িতে মানুষ তাদের গায়ে সিঁদুর ছিটিয়ে পুজো করে থাকে।তবে, টিকটিকির প্রতিটি নড়াচড়া বা গায়ে পড়ার কিছু তাৎপর্য রয়েছে, আসুন জেনে নিই শরীরের কোন অংশে টিকটিকি পড়ার অর্থ কী।শুকার ক্ষেত্র ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডক্টর গৌরব কুমার দীক্ষিতের মতে, দুই ধরনের টিকটিকি আছে – একটি সাদা টিকটিকি এবং অন্যটি কালো টিকটিকি। সাদা টিকটিকিকে ভাল এবং কালো টিকটিকিকে খারাপ বলে মনে করা হয়। নারী ও পুরুষের উপর টিকটিকি পড়ার অর্থ আলাদা।একটি টিকটিকি যদি পুরুষের উপর পড়ে তার মানে কী? যদি কোনও পুরুষের মুখে টিকটিকি পড়ে তবে এর অর্থ ভাল আর্থিক লাভ। বাম চোখে টিকটিকি পড়লে তা শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। তবে, ডান চোখে পড়লে ক্ষতি ও ব্যর্থতা হয়।কপালে টিকটিকি পড়লে ক্ষতি হয়। যদি আপনার আঙ্গুলে একটি টিকটিকি পড়ে তবে পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে।যদি কোনও ব্যক্তির পায়ের আঙুলে টিকটিকি পড়ে তবে এটি অসুস্থতার লক্ষণ। গোঁফের উপর টিকটিকি পড়া বাধা নির্দেশ করে।বাম হাতের নখে টিকটিকি পড়লে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। ডান হাতের নখের উপর পড়লে এর অর্থ অপ্রয়োজনীয় খরচ।
একটি টিকটিকি একটি মহিলার উপর পড়ে তাহলে এর মানে কী? যদি কোনও মহিলার ডান চোখে টিকটিকি পড়ে তবে এটি মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। ঠোঁটে টিকটিকি পড়লে তা বিবাদের ইঙ্গিত দেয়।যদি বাম চোখে একটি টিকটিকি পড়ে, তার মানে আপনি আপনার স্বামীর কাছ থেকে প্রচুর ভালবাসা পাবেন। ঠোঁটের নিচে পড়লে বুঝবেন সুখবর পেতে চলেছে।কোনও মহিলার পিঠে যদি টিকটিকি পড়ে, তার মানে কারুর মৃত্যুর খবর পাবেন। হাতে টিকটিকি পড়লে আর্থিক লাভ হয়।যদি একটি টিকটিকি কাঁধে পড়ে তবে তিনি গয়না পাবেন। পায়ের আঙুলে টিকটিকি পড়লে তাঁর ছেলে হবে। (Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷)
টিকটিকির উৎপাতে অনেকেই অতিষ্ঠ। বাড়িতে টিকটিকির দাপাদাপি বরদাস্ত করতে পারেন না অনেকেই।বাড়ির যে কোনও জায়গায় টিকটিকির উৎপাত। হাজার চেষ্টা করেও তাড়াতে পারছেন না! এবার টিকটিকি তাড়ানোর সহজ রাস্তা বলে দেব আমরা।সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি। তাতেই পালাবে টিকটিকি। আপনার খরচ হবে মাত্র ৫ টাকা। তাতেই কেল্লাফতে।এই টোটকা তৈরিতে আপনার লাগবে একটি ৫ টাকার তামাকের প্যাকেট। সঙ্গে একটুখানি ময়দা ও সামান্য কফি পাউডার।অনেকেই জানেন না, কফি ও তামাকের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না টিকটিকির দল। ফলে এই দুটি জিনিস থাকা মানে সেই জায়গায় আর টিকটিকি আসবে না।প্রথমে তামাক একটু ভিজিয়ে নিন। তার পর সেটার সঙ্গে কিছুটা কফি পাউডার ও সামান্য ময়দা মিশিয়ে ছোট ছোট বলের মতো তৈরি করে নিন।সেই ছোট বলগুলি বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিন। যেমন ভেন্টিলেটর, জানলা, দরজার পিছনে। দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ হবে।তবে বাড়িতে বাচ্চা থাকলে সাবধান। সেই ছোট ছোট বল যেন কোনওভাবেই বাচ্চাদের নাগালের মধ্যে না থাকে!
